খবর অনলাইন ডেস্ক: শূন্য রানে অভিমন্যু ঈশ্বরন প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ায় বাংলার সমর্থকরা হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের মনে প্রশ্ন জাগতে শুরু করেছিল — উত্তরাখণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলা প্রথম ইনিংসে এগিয়ে যেতে পারবে তো? শেষ পর্যন্ত সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের ৯৮ এবং সুমন্ত গুপ্তের অপরাজিত ৮২ রানের সুবাদে প্রথম ইনিংসে এগিয়ে গেলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লের ছেলেরা। আপাতত বাংলা ৬১ রানে এগিয়ে, হাতে চার উইকেট।
বুধবার শুরু হয়েছে রনজি ট্রফির এলিট ও প্লেট স্তরের খেলা। ইডেনে মুখোমুখি হয়েছে বাংলা ও উত্তরাখণ্ড। বাংলার সুরজ সিন্ধু জয়সওয়ালের চার উইকেট এবং মহম্মদ শামি ও ঈশান পোড়েলের ৩টি করে উইকেটের সুবাদে উত্তরাখণ্ডের ইনিংস ২১৩ রানে গুটিয়ে যায়। একমাত্র সফল ব্যাটার বি লালওয়ানি। তিনি ৭১ রান করেন।

প্রথম দিন বাংলা ব্যাট করতে নেমে শূন্য রানেই হারায় অভিমন্যু ঈশ্বরনকে। ১ উইকেটে ৮ রান হাতে নিয়ে দ্বিতীয় দিন খেলা শুরু করে বাংলা। অভিমন্যু শূন্য রানে ফিরে যাওয়ায় চাপ ছিল দলের উপর। সেই চাপ দুর্দান্ত ভাবে সামাল দেন অপর ওপেনার সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। দায়িত্ব নিয়ে খেললেন অভিজ্ঞ ব্যাটার। অন্য প্রান্তে উইকেট পড়তে থাকলেও একটা দিক তিনি ধরে থাকেন। সুদীপ ঘরামি করেন ১৫ রান। অভিজ্ঞ অনুষ্টুপ মজুমদার ফিরে যান ৩৫ রান করে। উইকেটকিপার অভিষেক পোড়েল ২১ রান করে আউট হন। ৯৮ রানে ৪ উইকেট পড়ে যায় বাংলার।
ছ’নম্বরে নেমে সুদীপের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সুমন্ত। দু’জনে মিলে দলের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। পঞ্চম উইকেটে এই জুটি যোগ করে ১৫৬ রান। দুর্ভাগ্য সুদীপের। মাত্র দু’রানের জন্য শতরান থেকে বঞ্চিত হন। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে নিজের উইকেট খুইয়ে বসেন।
সুদীপ প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে রান তোলার দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেন সুমন্ত। দিনের শেষ ওভারে বিশাল ভাট্টি আউট হওয়ার পর খেলা শেষ হয়ে যায়। বাংলার রান তখন ৬ উইকেটে ২৭৪। সুমন্ত ৮২ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
শুক্রবার বাংলার চেষ্টা হবে প্রথম ইনিংসে লিড যতটা সম্ভব বাড়িয়ে নেওয়া। এখনও মহম্মদ শামি, সুরজ সিন্ধু জয়সওয়াল, আকাশদীপের ব্যাটিং বাকি। তাঁরাও ব্যাট করতে পারেন। তবে তার জন্য সুমন্তের ক্রিজে থাকা জরুরি। এখন দেখা যাক, শুক্রবার কতটা টানতে পারে বাংলা।।
ছবি: সঞ্জয় হাজরা