ইস্টবেঙ্গল এফসি: ২ (মনোজ মহম্মদ আত্মঘাতী, রাফায়েল মেসি বৌলি) হায়দরাবাদ এফসি: ০
কলকাতা: প্রায় শেষ লগ্নে সমর্থকদের মনে আশা জাগিয়ে তুলল ইস্টবেঙ্গল। জয়ের হ্যাটট্রিক করল তারা। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ইস্টবেঙ্গল যত দিন খেলছে, কখনও টানা তিনটি ম্যাচে জেতেনি তারা। সে দিক দেখতে গেলে ইতিহাল গড়ল ইস্টবেঙ্গল এবং একই সঙ্গে প্লে অফে যাওয়ার আশা জিইয়ে তুলল।
তবে লড়াইটা বেশ কঠিন। ইস্টবেঙ্গলের শেষ দুটি ম্যাচ দুটি শক্রিশালী দলের বিরুদ্ধে – বেঙ্গালুরু এফসি এবং নর্থইস্ট ইউনাইটেড। তাদের হারাতে পারলে মশালবাহিনীর সামনে সেরা ছয়ে যাওয়ার দরজা খুললেও খুলতে পারে।
বুধবার কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আয়োজিত ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল এফসি ২-০ গোলে হারায় হায়দরাবাদ এফসিকে। এর আগে পাঞ্জাব এফসি ও মহমেডান এসসি-র বিরুদ্ধে জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। এ বার হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে জিতে জয়ের হ্যাটট্রিক করল অস্কার ব্রুজোনের দল।

ম্যাচের একটি মুহূর্ত। ছবি: সঞ্জয় হাজরা।
এ দিন ৮৫ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচের ফল গোলশূন্য ছিল। দু’ পক্ষই মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছিল গোল করার জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্য হায়দরাবাদের। ম্যাচের ৮৬ মিনিটের মাথায় তাদেরই ডিফেন্ডার মনোজ মহম্মদের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। এর পরে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে একক প্রচেষ্টায় গোল করে দলের জয় সুনিশ্চিত করেন ক্যামেরুনের রাফায়েল মেসি বৌলি।
সারা ম্যাচ জুড়ে দুটি দলই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চালিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত শেষ দশ মিনিটে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। ৮৬ মিনিটের মাথায় ইস্টবেঙ্গলের ডেভিড লালনসাঙ্গার কর্নার হেড করে ক্লিয়ার করতে গিয়ে পিছন দিকে ফ্লিক করে নিজের গোলেই বল পাঠিয়ে দেন হায়দরাবাদের মনোজ মহম্মদ। ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে যায় ১-০ গোলে।

যুবভারতীর গ্যালারিতে সমর্থকদের সমাগম। ছবি: সঞ্জয় হাজরা।
এর পরই লাল-হলুদ বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়ে হায়দরাবাদের রক্ষণ ভাগে। ইস্টবেঙ্গল আক্রমণে বারবার লোক বাড়িয়ে হায়দরাবাদকে বেশ চাপে ফেলে দেয়। আর তারই ফল পেয়ে যায় অতিরিক্ত সময়ের ৪ মিনিটে। সেন্টার লাইনের ও পার থেকে সউল ক্রেসপোর দেওয়া বল নিয়ে অনেকটা দৌড়ে প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে পড়েন মেসি বৌলি। তাঁর দুর্দান্ত একটি টোকায় হায়দরাবাদের গোলকিপার পরাস্ত হন। বল বাঁ দিকের নীচের কোণ দিয়ে ঢুকে জালে জড়িয়ে যায়। ইস্টবেঙ্গল জিতে যায় ২-০ গোলে।
এই জয়ের ফলে ইস্টবেঙ্গলের কোচ অস্কার ব্রুজোন বলেছেন, শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যাবেন শেষ ছয়ে যাওয়ার জন্য। তবে লড়াই বেশ কঠিন। শেষ দুটি ম্যাচ বেশ কঠিন, বেঙ্গালুরু এফসি ও নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে। এই দুটি দলকে তো হারাতেই হবে, উপরন্তু তখনও অন্য ম্যাচের ফলের ওপর নির্ভর করতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে।