ইস্টবেঙ্গল এফসি: ৩(জেসিন টিকে, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেভিড লালানসাঙ্গা)
মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট: ২ (লিয়ন কাস্টানহা, কিয়ান নাসিরি)
কল্যাণী: এ বারের কলকাতা ফুটবল লিগের প্রথম ডার্বি ম্যাচে চমক জাগাল ইস্টবেঙ্গল এফসি। কল্যাণীর স্টেডিয়ামে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে হারিয়ে দিল ৩-২ গোলে। প্রথমার্ধেই ২টি গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয়ার্ধে ৬৭ মিনিটের মধ্যেই সমতা ফেরায় মোহনবাগান। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের। মিনিটদুয়েক পরেই গোল করে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগান এর পরে গোল করার চেষ্টা চালালেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলে জিতে যায় লাল-হলুদ বাহিনী। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল করেন জেসিন টিকে, সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেভিড লালানসাঙ্গা এবং মোহনবাগানের হয়ে গোল করেন লিয়ন কাস্টানহা ও কিয়ান নাসিরি।

ইস্টবেঙ্গলের হয়ে জয়সূচক গোলের পর জামা খুলে ফেললেন ডেভিড। ছবি East Bengal Fc ‘X’ থেকে নেওয়া।
প্রথমার্ধে ২টি গোল জেসিন ও সায়নের
ম্যাচের শুরু থেকেই সমানে সমানে খেলা চলতে থাকে। আক্রমণ, প্রতি-আক্রমণের মধ্যে খেলা জমে ওঠে। আক্রমণটা শুরু করেছিল মোহনবাগানই। কিয়ান নাসিরি বাঁ দিক থেকে ঢুকে পড়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের বক্সে। শেষ পর্যন্ত তাঁকে ট্যাকল করে পরিস্থিতি সামাল দেয় লাল-হলুদ। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই ম্যাচের ৯ মিনিটের মাথায় গোল পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ফাঁকায় থাকা জেসিন পাস পেয়ে যান সায়নের কাছ থেকে এবং সেই বল বাগানের গোলে ঢুকিয়ে দিতে কোনো ভুলচুক করেননি তিনি।
এর পর ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণের ঝাঁঝ ক্রমশ বাড়তে থাকে। তবে এরই মাঝে ম্যাচে সমতা আনার সুযোগ নষ্ট করে মোহনবাগান। প্রথমার্ধের সংযুক্তি সময়ে দ্বিতীয় গোল করে ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগানের কর্নার ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগের খেলোয়াড় ক্লিয়ার করে দেন। বল পেয়ে যান এডমুন্ড লালরিনডিকা। এডমুন্ড পাস দেন ফাঁকায় থাকা সায়নকে। মোহনবাগানের অর্ধে তখন শুধু দীপেন্দু বিশ্বাস। বাকি দল ছিল ইস্টবেঙ্গলের অর্ধে। গোলকিপারকে কাটিয়ে গোল করেন সায়ন।

ম্যাচে সমতা আনার পরে কিয়ান নাসিরিকে (বাঁ দিক থেকে তৃতীয়) নিয়ে উল্লাস। ছবি Mohun Bagan Super Giant ‘X’ থেকে নেওয়া।
সমতা ফিরিয়েও হার মোহনবাগানের
দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচে ফিরে আসে মোহনবাগান। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে প্রথম গোল করে তারা। কর্নার পায় মোহনবাগান। কর্নার থেকে বল পান দীপেন্দু। তিনি বল নামিয়ে পাঠিয়ে দেন লিয়ন কাস্টানহার কাছে। ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার দেবজিৎ মজুমদারের পায়ের ফাঁক দিয়ে বল গলিয়ে দেন কাস্টানহা। গোল পেয়ে আক্রমণ আরও বাড়িয়ে দেয় মোহনবাগান। ১২ মিনিট পরে আবার গোল পেয়ে যায় তারা। ডান দিক থেকে আসা ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন কিয়ান নাসিরি।
কিন্তু মাত্র দু’ মিনিট তারা সমতা ধরে রাখতে পেরেছিল। ম্যাচের ৬৯ মিনিটেই জয়সূচক গোল পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ডান দিক থেকে বেশ খানিকটা ছুটে এসে আমন কে এস ক্রস বাড়িয়ে দেন মোহনবাগানের বক্সের মাঝে। ফাঁকায় দাঁড়িয়ে ছিলেন ডেভিড লালানসাঙ্গা। ধীরেসুস্থে সময় নিয়ে হেড করে বাগানের গোলে বল ঢুকিয়ে দেন। এর পর দুটি দলই গোলের সুযোগ পায়। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি।
আরও পড়ুন
ডুরান্ড কাপ ২০২৫: বেঙ্গালুরুর দলকে গোলের মালা পরিয়ে অভিযান শুরু ইস্টবেঙ্গলের