খবর অনলাইন ডেস্ক: ব্রাজিল বলতেই যেমন পেলের কথা প্রথম মনে আসে, আর্জেন্তিনা বলতেই যেমন মারাদোনা, তেমনই জার্মান ফুটবলার বলতেই প্রথমে মনে পড়ে ফ্রানৎস বেকেনবাউয়ারের নাম। চলে গেলেন সেই বেকেনবাউয়ার। বিশ্ব ফুটবল হারাল আরও এক নক্ষত্রকে। জার্মান সংবাদসংস্থা ডিপিএ সোমবার এই খবর দিয়েছে। মৃত্যুকালে বেকেনবাউয়ারের বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
ফুটবলার এবং কোচ হিসাবে ফ্রানৎস বেকেনবাউয়ার জার্মানির জন্য বিশ্বকাপ ফুটবলে সোনা এনে দিয়েছিলেন। এখানে উল্লেখ্য, দু’ দিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন ব্রাজিলের মারিও জাগালো। জাগালোই ফুটবলের ইতিহাসে প্রথম ব্যক্তি যিনি দেশের হয়ে খেলোয়াড় এবং কোচ হিসাবে সোনা এনে দিয়েছিলেন। জাগালোর বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।
সোমবার বেকেনবাউয়ারের পরিবারের তরফে ডিপিএ-র কাছে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়েছে, “গভীর দুঃখের সঙ্গে আমরা জানাচ্ছি, আমার স্বামী এবং আমাদের বাবা ফ্রানৎস বেকেনবাউয়ার গতকাল রবিবার ঘুমের মধ্যে প্রয়াত হয়েছেন। সেই সময় তাঁর পরিবার তাঁর পাশেই ছিল। আমাদের অনুরোধ, আমাদের যেন শান্তিতে শোক প্রকাশ করতে দেওয়া হয় এবং কোনো রকম প্রশ্ন থেকে আমাদের যেন মুক্তি দেওয়া হয়।”
বায়ার্ন মিউনিখের প্রাক্তন ফুটবলার বেকেনবাউয়ারের কী কারণে মৃত্যু হল, তা পরিবারের বিবৃতিতে জানানো হয়নি। তবে জার্মানির বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। ইদানীং তাঁর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়েছিল।
দীর্ঘদিন ধরেই ‘পার্কিনসন্স ডিজিজ-এ ভুগছিলেন বেকেনবাউয়ার। ২০১৫ সালে ছেলে স্টিফেন মারা যাওয়ার পর থেকে তাঁর শরীর ক্রমশ খারাপ হতে থাকে। ক্রমশই সব কিছু ভুলে যেতে থাকেন। হৃদযন্ত্রের চিকিৎসাও চলছিল।
ফুটবল মাঠে বেকেনবাউয়ার ‘ডেয়ার কাইজ়ার’ নামে পরিচিত ছিলেন। অর্থাৎ তিনিই সব, তিনিই নেতা। জার্মানির এই ফুটবলার নিঃসন্দেহে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার বলা। পেলে-মারাদোনার সঙ্গে একই নিঃশ্বাসে উচ্চারিত হত তাঁর নাম। আর জার্মানরা মনে করেন, বিশ্ব ফুটবলে কোনো ফুটবলারই বেকেনবাউয়ারের সমকক্ষ নন।
একাধিকবার বেকেনবাউয়ারের মৃত্যুর গুজব রটেছে। প্রতিবারই পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তিনি সুস্থ রয়েছেন। তবে শারীরিক কারণে মাঠে যাতায়াত বন্ধ করে দিয়েছিলেন অনেক দিনই। শেষ পর্যন্ত সোমবার চিরকালের জন্য বিদায় নিলেন ফ্রানৎস বেকেনবাউয়ার।