মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট: ৫ (অনিরুদ্ধ থাপা, জেমি ম্যাকলারেন, লিস্টন কোলাসো, সহল আবদুল সামাদ, জেসন কামিংস)
ডায়মন্ড হারবার এফসি: ১ (লুকা মায়সন)
কলকাতা: চোটের জন্য শনিবারের ম্যাচে খেলেননি মনবীর সিংহ, আলবার্তো রদ্রিগুয়েজ আর সুহেল ভাট। তবুও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ডায়মন্ড হারবার এফসিকে হারাতে কোনো রকম বেগ পেতে হল না মোহনবাগান সুপার জায়ান্টকে। ডায়মন্ড হারবারকে কার্যত দুরমুশই করল হোসে মলিনার দল। ৫-১ গোলে হারাল তাদের।
ডুরান্ড কাপের ১৩৪তম সংস্করণে গ্রুপ ‘বি’-তে শীর্ষে থেকে লিগ স্টেজের ম্যাচ শেষ করল সবুজ-মেরুন। ৩ ম্যাচ থেকে তাদের সংগ্রহ ৯ পয়েন্ট। শীর্ষে থেকেই এবারের ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেল তারা। ৩ ম্যাচ থেকে ডায়মন্ড হারবার ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এবারের ডুরান্ড কাপের নিয়ম অনুযায়ী ৬টি গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় দল চলে যাবে শেষ ৮-এ। প্রতিযোগিতার বাকি ১৮টি দলের মধ্যে যে দুটি প্রথম দুটি স্থানে থাকবে তারাও যাবে শেষ ৮-এ। ডায়মন্ড হারবার শেষ ৮-এ যাবে কি না তা নির্ভর করছে বাকি দলগুলির পারফরম্যান্সের উপর।
চলতি মরশুমে বেশ শক্তিশালী দল গড়েছে ডায়মন্ড হারবার এফসি। এ বছর তারা আই লিগে খেলবে। এবারের ডুরান্ড কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বিএসএফ ফুটবল টিমকে আট গোল দিয়েছিল ডায়মন্ড হারবার। আর মোহনবাগান বিএসএফ-কে চার গোল দিয়েছিল। তাই ফুটবলপ্রেমীরা ভেবেছিলেন, শনিবার কলকাতার কিশোরভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আয়োজিত ম্যাচে বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। কিন্তু খেলা হল একপেশে। মোহনবাগানের হয়ে পাঁচ গোল করলেন অনিরুদ্ধ থাপা, জেমি ম্যাকলারেন, লিস্টন কোলাসো, সহল আবদুল সামাদ এবং জেসন কামিংস। ডায়মন্ড হারবারের হয়ে একমাত্র গোলটি করলেন লুকা মায়সন।

জেমি ম্যাকলারেন এবং সহল আবদুল সামাদ। ছবি Mohun Bagan Super Giant ‘X’ থেকে নেওয়া।
প্রথমার্ধে মোহনবাগান ২-১ গোলে এগিয়ে
ম্যাচের শুরুতে ডায়মন্ড হারবার ভালোই খেলছিল। তবে মলিনার খেলোয়াড়রা ধীরে ধীরে তাদের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে ম্যাচের দখল নিয়ে নেয়। আর তার ফল মেলে ১৯ মিনিটে। সহলের কাছ পাস পেয়ে দূর থেকে নিখুঁত শটে গোল করেন অনিরুদ্ধ থাপা। কিন্তু পাঁচ মিনিট পরেই সমতা ফেরায় ডায়মন্ড হারবার। মোহনবাগানের রক্ষণের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে গোল করেন লুকা মায়সেন।
ম্যাচের ৩৫ মিনিটে আবার গোল পায় সবুজ-মেরুন। প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়ের কাছ থেকে বল ছিনিয়ে নিয়ে সহল বল দিয়ে দেন ম্যাকলারেনকে। ম্যাকলারেন গোল করতে কোনো ভুলচুক করেননি। প্রথমার্ধে মোহনবাগান ২-১ গোলে এগিয়ে থাকে।
শেষ গোল কামিংস-এর। ছবি Mohun Bagan Super Giant ‘X’ থেকে নেওয়া।
দ্বিতীয়ার্ধে আরও ৩ গোল
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হওয়ার ৫ মিনিটের মধ্যেই ডায়মন্ড হারবার ১০ জনে খেলতে বাধ্য হয়। নিজেদের পেনাল্টি বক্সে লিস্টন কোলাসোকে মারাত্মক ভাবে ফাউল করে নরেশ লাল কার্ড দেখেন। পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে ৩-১ গোলে এগিয়ে দেন কোলাসো।
এর পর মাঠে শুধুই মোহনবাগানের দাপট এবং দ্বিতীয়ার্ধে আরও দুটি গোল পায় মশালবাহিনী। কামিংস বাঁ দিক থেকে যে পাস বাড়ান তাতে পা ছোঁয়াতে পারেননি সহল। কিন্তু কাছেই থাকা প্রতিপক্ষের এক ফুটবলারের পায়ে লেগে সেই বল চলে আসে সহলেরই কাছে। হালকা ছোঁয়ায় বল ডায়মন্ডের জালে জড়িয়ে দিন।
শেষ গোল আসে খেলার নির্ধারিত সময়ের দশ মিনিট আগে। ডান দিক থেকে পাস পেয়ে সময় নিয়ে বাঁ পায়ের নিখুঁত শটে গোল করেন কামিংস। ৫-১ গোলে জয়ী হয় মলিনার দল।
আরও পড়ুন
ডুরান্ড কাপ ২০২৫: ১০ জনে মহমেডান স্পোর্টিংকে হারিয়ে ডুরান্ড অভিযান শুরু মোহনবাগানের
ডুরান্ড কাপ ২০২৫: কোলাসোর জোড়া গোল, বিএসএফ-কে হারিয়ে পর পর জয় পেল মোহনবাগান