নিজস্ব প্রতিনিধি: ডুরান্ড কাপ নিতে সবুজ-মেরুন খেলোয়াড়রা যখন মঞ্চের দিকে চলেছেন, তখন গার্ড অব অনার দিচ্ছেন লাল-হলুদ খেলোয়াড়রা। প্রতিযোগিতার ময়দানে এ এক অভিনব দৃশ্য। এই নিয়ে ১৭ বার ডুরান্ড কাপ জিতল মোহনবাগান। ডুরান্ড কাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বার জিতে রেকর্ড গড়ল মোহনবাগান।
ব্রিটিশ ভারতের তৎকালীন বিদেশসচিব স্যার হেনরি মর্টিমার ডুরান্ডের নামে ডুরান্ড কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট চালু হয় ১৮৮৮ সালে, শিমলায়। ১৯৪০ সালে তা সরে আসে দিল্লিতে। কালক্রমে এই টুর্নামেন্ট গোয়া হয়ে কলকাতায়। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, দেশভাগ, ভারত-চিন যুদ্ধ, কোভিড ও নানা কারণে ১৩৫ বছরের মধ্যে ২১ বছর এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।
২৩ বছর পরে মোহনবাগানের ঘরে
ডুরান্ডের ইতিহাসে ২৩ বছর পর ডুরান্ড জিতল মোহনবাগান। এর আগে জিতেছিল ২০০০ সালে। ফাইনালে হারিয়েছিল মাহিন্দ্রা ইউনাইটেডকে। রবিবারের ফাইনালের আগে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল দু’ দলই ১৬ বার করে ডুরান্ড কাপ জেতার রেকর্ড করে ফেলেছিল। এ দিনের খেলায় জিতে কাপজয়ের হিসাবে ইস্টবেঙ্গলের তুলনায় এক কদম এগিয়ে থাকল মোহনবাগান। ডুরান্ড কাপের পুরস্কারঅর্থ হিসাবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট পেল ৬০ লক্ষ টাকা।
আর এ দিনের ফাইনালে জিতে আগের পরাজয়ের মধুর প্রতিশোধ নিল মোহনবাগান। দুটি ক্ষেত্রে প্রতিশোধ – প্রথমত, এ বারের টুর্নামেন্টেই গ্রুপ স্টেজে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হারের প্রতিশোধ; দ্বিতীয়ত, এর আগে ডুরান্ড ফাইনালে দুই প্রধানের সাক্ষাৎ হয়েছিল ২০০৪-এ। সেবার মোহনবাগান ১-২ গোলে হেরে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের কাছে।
কী পেল ইস্টবেঙ্গল
ডুরান্ডে রানার্স হওয়ার সুবাদে হিসাবে ইস্টবেঙ্গল এফসি পেল ৩০ লক্ষ টাকা। এ দিন মোহনবাগানের কাছে হেরে গেলেও ইস্টবেঙ্গলের তেমন আপশোশ করার কিছু নেই। এই টুর্নামেন্টে তারা যে পারফরম্যান্স করল, তাতে তাদের সন্তুষ্ট হওয়ারই কথা। গত আইএসএল টুর্নামেন্টে ইস্টবেঙ্গলের স্থান ছিল শেষের দিক থেকে তৃতীয়।
ইস্টবেঙ্গলের আরও সন্তুষ্টির কারণ আছে। তাদের নন্দকুমার সেকর পেলেন গোল্ডেন বল। এই টুর্নামেন্টে তিনবার ‘প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ’ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, গ্রুপ স্টেজের ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেছিলেন নন্দকুমার।
গোল্ডেন গ্লাভ বিশাল কাইথকে
গোল্ডেন গ্লাভ পেলেন মোহনবাগানের গোলকিপার বিশাল কাইথ। তিনি গত আইএসএল টুর্নামেন্টেও গোল্ডেন গ্লাভ পেয়েছিলেন। ডুরান্ডে এই পুরস্কার জিতে বিশাল পেলেন ৩ লক্ষ টাকা। মহমেডান স্পোর্টিং-এর ডেভিড লালনসাঙ্গা পেলেন গোল্ডেন বুট।