নিজস্ব প্রতিনিধি: বর্তমান সময়ের কমবয়সিদের এই সমস্যা নিয়ে আমরা অনেকেই চিন্তাগ্রস্ত। এ নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করি। এই সমস্যা ছোটোদের ভবিষ্যত জীবনে কী বিপদ ডেকে আনতে পারে সে সম্পর্কেও আমরা অনেকে অবহিত। কিন্তু এই সমস্যা সমাধানে কী করা উচিত, সেটাই আমরা ভেবে উঠতে পারি না। এ ব্যাপারে পথ দেখাল সোনামুই গ্রাম।
সোনামুই গ্রাম হাওড়া জেলার আমতা থানার অন্তর্গত। লকডাউন-পরবর্তী সময়ে এই গ্রামের ক্রীড়াপ্রেমী মানুষজন লক্ষ করলেন, গ্রামের ছোটো ছোটো ছেলেরা আর মাঠমুখো হচ্ছে না। যে অভ্যাস তারা লকডাউনের সময়ে রপ্ত করেছিল, সেই অভ্যাস থেকে তারা আর কিছুতেই বেরিয়ে আসতে পারছে না। খেলাধূলা ছেড়ে দিয়ে তারা ক্রমশ মোবাইলের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে।
গ্রামবাসীরা বুঝতে পারলেন, ছোটোদের এই অভ্যাস ছাড়াতে হলে তাদের আবার মাঠে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই সোনামুই বয়েজ স্কুলের মাঠে চালু হল ফুটবল প্রশিক্ষণ শিবির। নাম হল, সোনামুই নার্সারি ফুটবল কোচিং ক্যাম্প। ২০২২ সালে ১৫-২০ জন ছেলেকে নিয়ে এই শিবির শুরু করলেন গ্রামবাসীরা।
এই ফুটবল প্রশিক্ষণ শিবির ধীরে ধীরে স্থানীয় অঞ্চলে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করল। আজ এই ক্যাম্পে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১৫০ জন। উল্লেখ্য, এই ক্যাম্পের কিছু ছেলে বর্তমানে ময়দানের বিশিষ্ট ফুটবল প্রশিক্ষক জহর দাসের কাছে প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়েছে। ২০২৩ সালে কলকাতা মাঠে টাউন ক্লাবের হয়ে ৫ম ডিভিশন লিগে খেলেছে তারা। এ ছাড়া ইউনাইটেড স্পোর্টস অ্যাকাডেমিতে অনূর্ধ্ব ১৫-র দলেও জায়গা করে নিয়েছে।
বর্তমানে সোনামুইয়ের এই প্রশিক্ষণ শিবির থেকে বেশ কিছু ছেলে এআইএফএফ পরিচালিত অনূর্ধ্ব ১০ এবং ১২ বছর বয়স বিভাগের বেবি লিগের খেলায় যোগ দিতে চলেছে। এহেন সামাজিক কাজে উৎসাহিত করে ছেলেদের খেলার মাঠমুখো করাতে পেরে এলাকার মানুষজন খুবই খুশি, খুশি স্থানীয় প্রশাসনও।
ছবি: সৌজন্যে ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ
আরও পড়ুন