দিল্লি ক্যাপিটলস: ১৮৩-৬ (কেএল রাহুল ৭৭, অভিষেক পোড়েল ৩৩, খলিল আহমেদ ২-২৫)
চেন্নাই সুপার কিংস: ১৫৮-৫ (বিজয় শঙ্কর ৬৯ নট আউট, এমএস ধোনি ৩০ নট আউট, বিপরাজ নিগম ২-২৭)
চেন্নাই: এ বারের আইপিএল-এ পর পর তিন ম্যাচে জয় পেল দিল্লি ক্যাপিটলস। মূলত কেএল রাহুলের ব্যাটিং-এ ভর করে দিল্লি প্রথমে ব্যাট করে তোলে ৬ উইকেটে ১৮৩ রান। ব্যাটে রাহুলের সঙ্গী ছিলেন বাংলার অভিষেক পোড়েল। জয়ের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে গিয়ে চেন্নাই সুপার কিংস ৫ উইকেটে ১৫৮ রান করে ইনিংস শেষ করে। ষষ্ঠ উইকেটে বিজয় শঙ্করের ৬৯ নট আউট এবং এমএস ধোনির ৩০ নট আউট দলকে জয় এনে দিতে পারল না। চেন্নাই শেষ পর্যন্ত ২৫ রানে পরাজিত হয় দিল্লির কাছে। ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হন কেএল রাহুল।
ব্যতিক্রমী দিল্লি, টসে জিতে ব্যাট
শনিবার চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট নেয় দিল্লি ক্যাপিটলস। দলের ঝুলিতে কোনো রান আসার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান অন্যতম ওপেনার জেক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক। খলিল আহমেদের বলে রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ক্যাচ দিয়ে ম্যাকগার্ক ফিরে যেতে কেএল রাহুলের সঙ্গী হন বঙ্গসন্তান অভিষেক পোড়েল। দু’জনেই ঝড় তোলেন ব্যাটে। দলের বিপদ কিছুটা কাটিয়ে ২০ বলে ৩৩ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার বলে এমএস ধোনিকে ক্যাচ দিয়ে যখন অভিষেক ফিরে যান দলের রান তখন ৬.৫ ওভারে ৫৪।
এর পর রাহুল প্রথমে সঙ্গী পান দলের অধিনায়ক অক্ষর পটেলকে (১৪ বলে ২১ রান) এবং পরে সমীর রিজভিকে (১৫ বলে ২০ রান)। এর পর ৫১ বলে ৭৭ রান করে মতিশা পতিরানার শিকার হয়ে রাহুল যখন প্যাভিলিয়নে ফেরেন তখন দিল্লির ইনিংস শেষ হতে আর ৪ বল বাকি। রাহুলের ৭৭ বলে ছিল ৩টে ছয় আর ৬টা চার। শেষ পর্যন্ত দিল্লি ইনিংস শেষ করে ৬ উইকেটে ১৮৩-তে। ১২ বলে ২৪ রান করে ট্রিস্টান স্টাবস এবং ২ বলে ১ রান করে বিপরাজ নিগম নট আউট থাকেন। লখনউ সুপার জায়ান্টস-এর বিরুদ্ধে এক অবিশ্বাস্য লড়াই লড়ে যিনি দিল্লিকে জয় এনে দিয়েছিলেন সেই আশুতোষ শর্মার এ দিন দুর্ভাগ্য। ১ রান করে তিনি রান আউট হয়ে যান।

দলের জন্য জয় আনতে পারলেন না বিজয় এবং ধোনি। ছবি Indian Premier League ‘X’ থেকে নেওয়া।
জয় আনতে পারলেন না বিজয়, ধোনি
জয়ের জন্য চেন্নাই সুপার কিংস-এর দরকার ছিল ১৮৪ রান। খুব যে শক্ত টার্গেট, তা নয়। কিন্তু জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় লড়াই লড়তে দেখা গেল না কোনো ব্যাটারকে। দলের উইকেট দ্রুত পড়তে থাকে। ১০.৪ ওভারে ৭৪ রানের মধ্যে চেন্নাই ৫ উইকেট হারায়। তখনও জয়ের জন্য তাদের দরকার ছিল ১১০ রান, হাতে ছিল ৫৮ বল। ওভারপ্রতি ১২ রানের কম। টি২০-এর বিচারে খুব একটা যে বেশি, তা নয়।
কিন্তু ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে বিজয় শঙ্কর এবং এমএস ধোনি নট আউট থাকলেন বটে, কিন্তু দলকে জয়ে নিয়ে যেতে পারলেন না। ৬৯ রান করে বিজয় শঙ্কর নট আউট থাকলেন, কিন্তু সেই রান তিনি করলেন ৫৪ বলে। স্ট্রাইক রেট ১২৭.৭৭। আর ধোনি নট আউট থাকলেন ৩০ রান করে। স্টাইক রেট ১১৫.৩৮। টি২০ ম্যাচের হিসাবে এই রানরেট কিন্তু খুব একটা ভালো নয়। ফলে জয় থেকে ২৬ রান দূরে থেকে ইনিংস শেষ করল বিজয়-ধোনি জুটি। চেন্নাই হেরে গেল ২৫ রানে।
এ বারের আইপিএল-এ ৩ ম্যাচ থেকে ৬ পয়েন্ট সংগ্রহ করে দিল্লি ক্যাপিটলস থাকল শীর্ষ স্থানে। আর ৪ ম্যাচ থেকে মাত্র ২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে চেন্নাই সুপার কিংস থাকল লিগ টেবিলের অষ্টম স্থানে।