পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় সামনে আসার পর একের পর এক প্রতিক্রিয়া আসছে। এবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। আনন্দবাজার ডট কমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, “এই রায়টাই হবে সেটা আমার প্রথম থেকে বিশ্বাস ছিল, কারণ সাংবিধানিক মূল্যবোধ বিচার করলেই স্পষ্ট হয়ে যায় — এই নিয়োগ প্রক্রিয়া আইনসঙ্গত ছিল না।”
বিকাশরঞ্জনের দাবি, CBI-এর কাজ যোগ্য-অযোগ্য বিচার করা নয়, বরং তাদের কাজ তদন্ত করে দুর্নীতি প্রমাণ করা। সেটাই তারা করেছে এবং চার্জশিটও দিয়েছে। তাঁর কথায়, “যে মেশিনে আপনি কাজ করছেন, সেই মেশিনটাই যদি কোরাপ্টেড হয়, তাহলে তার প্রোডাক্টও কোরাপ্টেড। নিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক বেশি স্বচ্ছতা দরকার, যা এখানে ছিল না।”
তিনি আরও বলেন, “এই নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রথম থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য টাকা রোজগারের একটি হাতিয়ার ছিল। তাঁরা চাকরি বিক্রি করেছেন, এ কথা নিজেরাই একাধিকবার স্বীকার করেছেন।” তাঁর মতে, বিভাজন হয়েছে যোগ্য-অযোগ্য হিসেবে নয়, বরং সাজার মাত্রা অনুযায়ী। যারা সম্পূর্ণ দুর্নীতিগ্রস্ত বলে চিহ্নিত, তাদের টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু দুর্নীতিগ্রস্ত হয়েও যারা চিহ্নিত হয়নি, তারা রেহাই পেয়ে গেছে। আজকে যোগ্য-অযোগ্য বলে নাটক করা হচ্ছে। এটা এক ধরনের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নাটক, যা সরকার এবং তাঁর সহযোগীরা চালিয়ে যাচ্ছেন দুর্নীতিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য।
চাকরি বাতিল নিয়ে চলছে উত্তাল পরিস্থিতি। বিকাশরঞ্জনের এই মন্তব্য রাজ্য রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক উস্কে দিয়েছে।