Home খেলাধুলো আইপিএল ব্রুকের সেঞ্চুরি, ইডেন রিঙ্কু-রানার লড়াইয়েও জয় অধরা কেকেআরের

ব্রুকের সেঞ্চুরি, ইডেন রিঙ্কু-রানার লড়াইয়েও জয় অধরা কেকেআরের

0

সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ২২৮/৪ (ব্রুক-১০০*, মারক্রাম-৫০, রাসেল-২২/৩)

কলকাতা নাইট রাইডার্স: ২০৫/৭ (রানা-৭৫, রিঙ্কু-৫৮*, মারকাণ্ডে ২৭/২, জানসেন ৩৭/২)

কলকাতা: শেষ ওভারে কলকাতার জয়ের জন্য দরকার ৩২ রান। উইকেটে সেই রিঙ্কু সিং। কিন্তু, প্রতি ম্যাচেই তো আর ৫ বলে পাঁচটি কড়কড়ে ছক্কা আসবে না! আসেওনি। শেষপর্যন্ত স্বপ্নভঙ্গ হল কেকেআরের। শুক্রবার ইডেন গার্ডেন্সে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কাছে ২৩ রানে হেরে গেল নীতীশ রানার দল।

সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ২৩ রানে হার কলকাতা নাইট রাইডার্সের। প্রথমে ব্যাট করে ২২৮ রান করেছিল হায়দরাবাদ। অনেক চেষ্টা করলেও সেই রান তাড়া করতে পারেনি কলকাতা। অর্ধশতরান করলেন দলের অধিনায়ক নীতীশ ও রিঙ্কু সিংহ। কিন্তু আগের ম্যাচের অবিশ্বাস্য জয় এই ম্যাচে দেখা যায়নি। সানরাইজার্স হায়দরবাদের বিরুদ্ধে ২২৯ রান তাড়া করতে নেমে কেকেআর থেমে গেল ২০৫ রানে।

টস জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন নীতীশ রানা। হায়দরাবাদের ইনিংসে শুরু থেকেই দাপট দেখালেন ব্রুক। প্রথম ওভারে তিনটি চার মারেন তিনি। ১০০ রান করে নটআউট থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। ব্রুকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রান করেন এডেন মার্করাম, অভিষেক শর্মা এবং এনরিখ ক্লাসেনরা। মার্করাম ২৬ বলে ৫০ রান করেন। ১৭ বলে ৩২ রান করেন অভিষেক। মাত্র ছ’বল খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ক্লাসেন। তিনি ১৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। চলতি মরশুমে প্রথমবার হাতে বল তুলে নিয়েই তিন উইকেট ঝুলিতে ভরে ফেলেন আন্দ্রে রাসেল। তাও আবার ২.১ ওভার বল করেই।

ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই রহমনউল্লাহ গুরবাজ়কে ফেরান ভুবনেশ্বর কুমার। প্রথম ওভারের সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই মার্কো জানসেন পর পর দু’বলে ফিরিয়ে দেন বেঙ্কটেশ আয়ার এবং সুনীল নারাইনকে। মাথায় ২২৯ রানের লক্ষ্য নিয়ে ২০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় কলকাতা। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলার মরিয়া চেষ্টা করেন নীতীশ রানা।

আগের ম্যাচের মতো এ বারও কলকাতার ভরসা ছিলেন রিঙ্কু। একের পর এক ছক্কা হাঁকাচ্ছিলেন তিনি। জানসেনকে দু’টি ছক্কা মারেন একই ওভারে। চালিয়ে খেলছিলেন নীতীশও। দু’জনে মিলে কলকাতাকে আশা দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু তাঁদের ৬৯ রানের জুটি ভেঙে দিলেন টি নটরাজন। নীতীশ রানা আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নাইট রাইডার্সের যাবতীয় সম্ভাবনাও শেষ হয়ে যায়। ২৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রিঙ্কু। ৭ বলে ১২ রান করে আউট হন শার্দূল ঠাকুর। 

শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩২ রান। গত ম্যাচে শেষ ওভারে ২৯ রান তাড়া করে জেতা নাইট সমর্থকরা, এই ম্যাচেও আশায় বুক বাঁধছিলেন। কিন্তু রোজ রোজ তো আর রিঙ্কুর পক্ষে পাঁচ পাঁচ ছক্কা মারা সম্ভব নয়। সানরাইজার্সের জানসেন ও মার্কান্ডে ২টি করে উইকেট নেন।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version