লন্ডন: বদলা নিতে ঠিক পাঁচ সপ্তাহ লাগল। স্প্যানিশ প্রতিদ্বন্দ্বী কার্লোস আলকারাজকে উইম্বলডন পুরুষদের টেনিসে চ্যাম্পিয়ন খেতাব জিতে নিলেন ইটালির ইয়ানিক সিনার। এই নিয়ে চারটি গ্র্যান্ড স্লাম খেতাব ঢুকল সিনারের ঝুলিতে।
রবিবার লন্ডনের অল ইংল্যান্ড লন টেনিস অ্যান্ড ক্রকেট ক্লাবে আয়োজিত উইম্বলডন ফাইনালে শীর্ষ বাছাই সিনার ৪-৬, ৬-৪, ৬-৪, ৬-৪ হারালেন দ্বিতীয় বাছাই আলকারাজকে।
ইয়ানিক সিনার বিশ্ব টেনিস র্যাঙ্কিং-এ এক নম্বর আর কার্লোস আলকারাজ দু’ নম্বর। ঠিক পাঁচ সপ্তাহ আগে সিনার ফরাসি ওপেনের ফাইনালে হেরে গিয়েছিলেন আলকারাজের কাছে। উইম্বলডনে জয় সেই পরাজয়ের বদলা।
প্রথমবার উইম্বলডনের ফাইনালে খেলছেন। স্বভাবতই একটু নার্ভাস ছিলেন সিনার। আর তারই সুযোগ নেন দু’ বারের চ্যাম্পিয়ন আলকারাজ। প্রথম সেটটা দুর্দান্ত ভাবে শুরু করেন তিনি। ২২ বছরের আলকারাজ বিশ্ব টেনিসে শীর্ষতম খেলোয়াড়ের সার্ভিস ভেঙে প্রথম সেট ৪৫ মিনিটেই দখল করেন। সেটের ফল দাঁড়ায় আলকারাজের পক্ষে ৬-৪।

ইয়ানিক সিনার ও কার্লোস আলকারাজ। ছবি Wimbledon ‘X’ থেকে নেওয়া।
কিন্তু তার পরেই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন ২৩ বছরের সিনার। ফাইনাল ম্যাচে ঠান্ডা মাথায় নিজেকে ফিরিয়ে আনেন। পর পর তিনটি সেট সহজেই দখল করে নেন। প্রতিটি সেটেরই ফল দাঁড়ায় সিনারের পক্ষে ৬-৪ করে। শেষ পর্যন্ত ৪-৬, ৬-৪, ৬-৪, ৬-৪ ফলে ম্যাচে মাত করেন ইয়ানিক সিনার।
ইটালির ঘরে প্রথম গেল উইম্বলডন খেতাব
আলকারাজকে হারিয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন সিনার। কোর্টের মধ্যেই ডিগবাজি খান। তার পর চক্কর মারেন। ইয়ানিক সিনারই প্রথম ইটালির ঘরে উইম্বলডন খেতাব নিয়ে এলেন। এই জয়ের মাধ্যমে তিনি যে শুধু ফরাসি ওপেনের ফাইনালে পরাজয়ের প্রতিশোধই নিলেন না, গ্র্যান্ড স্লাম জেতার ব্যাপারে আলকারাজের কাছ থেকে আর একটা ফাইনাল জেতা দূরে থাকলেন।
জয়ের পর সিনার বলেন, “আমি কখনও ভাবিনি আমি এই জায়গায় আসতে পারব (উইম্বল্ডন জেতা)। প্যারিসে হারটা খুব কষ্ট দিয়েছিল। কিন্তু আমি বোঝার চেষ্টা করেছিলাম, আমি কী ভুল করেছি এবং সেগুলো শোধরানোর চেষ্টা করেছি।”