নিউ ইয়র্ক: কার্লোস আলকারাজের পরে নোভাক জোকোভিচ। এবারের ইউএস ওপেন অঘটনের টুর্নামেন্ট হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকছে। ২৪টি গ্র্যান্ড স্লামের মালিক জোকোভিচ তৃতীয় রাউন্ডে হেরে গেলেন অস্ট্রেলিয়ার অ্যালেক্সি পপিরিনের কাছে। বিশ্ব র্যাঙ্কিং-এ ২৮ নম্বর স্থানে থাকা পপিরিনের পক্ষে ম্যাচের ফল ৬-৪, ৬-৪, ২-৬, ৬-৪।
ইউএস ওপেনে চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন নোভাক জোকোভিচ। বিশ্ব র্যাঙ্কিং-এ দ্বিতীয় স্থানে থাকা সেই জোকোভিচ ১৮ বছরে এই প্রথম ইউএস ওপেন থেকে এত তাড়াতাড়ি বিদায় নিলেন।
এবারের ইউএস ওপেনে দ্বিতীয় বাছাই জোকোভিচ যে খেলা খেললেন তাতে টেনিস বিশেষজ্ঞরা বিস্মিত। ১৪টা ‘ডাবল ফল্ট’ করলেন, আর ৪৯টা ‘আনফোর্সড এরর’।
২০১৭-এর পর এবারের টেনিস মরশুমে জোকোভিচ একটা গ্র্যান্ড স্লাম খেতাবও জিততে পারলেন না। জানুয়ারিতে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ওপেন। তাতে সেমিফাইনালে হেরে যান ইতালির ইয়ানিক সিনারের কাছে। ওই সিনারই অস্ট্রেলিয়া ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হন। আর জোকোভিচকে হারিয়ে বিশ্ব র্যাঙ্কিং-এ এক নম্বর জায়গাটা দখল করে নিলেন সিনার, যে জায়গাটা ৪২৮ সপ্তাহ ধরে রেখেছিলেন জোকোভিচ।
তার পর মে-জুনে হল ফ্রেঞ্চ ওপেন। কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে হাঁটুর চোটের জন্য নিজেকে প্রতিযোগিতা থেকে সরিয়ে নিলেন জোকোভিচ। এর পর জুলাইয়ে হল উইম্বলডন। জোকোভিচ ফাইনালে হেরে গেলেন আলকারাজের কাছে। শেষ পর্যন্ত ইউএস ওপেনে তৃতীয় রাউন্ডে পরাজিত হওয়ায় ২৫তম গ্র্যান্ড স্লাম অধরাই থেকে গেল জোকোভিচের কাছে।
এই হতাশার বছরে জোকোভিচের একমাত্র সান্ত্বনা প্যারিস অলিম্পিক্সে সোনা জয়। এবং আরও এক সান্ত্বনা এই জয়ের পথে তিনি ফাইনালে হারান আলকারাজকে। এই জয়ের ফলে উইম্বলডনে হারের প্রতিশোধ তোলেন তিনি।
জয়ের পরে পপিরিন বলেন, “মোটামুটি ভালো টেনিস খেললাম। টেনিসে সর্বকালের সেরাকে হারিয়ে চতুর্থ রাউন্ডে যাওয়ার ব্যাপারটা আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না।”
গত বছর জোকোভিচের কাছেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেন এবং উইম্বলডনে হেরে গিয়েছিলেন পপিরিন। এবার প্রথমবার মন্ট্রিয়েল মাস্টার্স জিতে মানসিকভাবে বেশ বলীয়ান হয়ে এসেছেন জোকোভিচের থেকে ১২ বছরের ছোটো পপিরিন।
আরও পড়ুন
ইউএস ওপেনে বড়ো অঘটন, অবাছাই ডাচের কাছে হেরে এবছর দুটি গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী আলকারাজের বিদায়