বায়োমেট্রিক তথ্য সম্মিলিত গুরুত্বপূর্ণ পরিচয়পত্র হল আধার কার্ড। এতদিন আধার কার্ডের সঙ্গে মোবাইল নম্বরের সংযোগ করতে হলে, কিংবা বয়সের প্রমাণপত্র বা ঠিকানা বদল হলে নতুন ঠিকানার প্রমাণপত্র দাখিল করতে হলে এতদিন আধার সেবা কেন্দ্রে গিয়ে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হত।
এবার সরাসরি ঘরে বসে স্বচ্ছন্দে নয়া ই-আধার মোবাইল অ্যাপের সাহায্যে এসব কাজকর্ম দ্রুত ও সহজে করা যাবে। অন্যদিকে, আধার কার্ডের ব্যক্তিগত বায়োমেট্রিক তথ্যকে আরও সুরক্ষিত রাখতে এবার নয়া ব্যবস্থা নিল UIDAI কর্তৃপক্ষ। তথ্য সুরক্ষিত রাখতে আধার ডেটা ভল্ট অ্যাপ (Aadhaar Data Vault) চালু হল দেশে।
আধার কার্ডের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আধার কার্ডের জালিয়াতির ঘটনাও। UIDAI আধার ডেটা ভল্ট নামে একটি নতুন ফিচার চালু করেছে। আধার ডেটা ভল্টের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল আধার নম্বর এবং সংশ্লিষ্ট ডেটার পদচিহ্ন (footsteps) সুরক্ষিত করা। এই ডেটা এনক্রিপ্ট করা হবে।
এই আধার ডেটা ভল্ট আধার কার্ডে থাকা সব তথ্য সম্পূর্ণ সুরক্ষিত রাখবে। আধার ডেটা ভল্ট হল আধার ডেটার জন্য একটি পৃথক, সুরক্ষিত ডাটাবেস। এটি আধার নম্বর এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন নাম, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ, ঠিকানা, ছবি, মোবাইল নম্বর এবং ইমেল আইডি, এনক্রিপ্ট করে সংরক্ষণ করে। এই ভল্টটি একটি হার্ডওয়্যার সিকিউরিটি মডিউল (HSM) এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি।
এদিকে, ই-আধার নামে খুব শিগগিরই কেন্দ্রীয় সরকার নয়া অ্যাপ চালু করতে চলেছে। নয়া অ্যাপে থাকবে এআই প্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম। এর মাধ্যমে যে কোনো ভারতীয় নাগরিক তার আধার কার্ডের আপডেট স্মার্টফোনের সাহায্যেই করতে পারবে। চলতি নভেম্বর মাসেই নয়া মোবাইল অ্যাপ চালু হওয়ার কথা। এআই প্রযুক্তি ও ফেস আইডির সাহায্যে স্মার্টফোনে থাকে ই-আধার মোবাইল অ্যাপের সাহায্যে বয়সের প্রমাণপত্র দাখিল, ঠিকানার প্রমাণপত্র দাখিল ও মোবাইল নম্বরের সঙ্গে আধার কার্ডের সংযোগ স্থাপন করা যাবে। তবে আঙুলের ছাপ বা চোখের মণির ছাপ স্ক্যান করতে আধার সেবা কেন্দ্রে যেতে হবে।


