ভারতের প্রায় সমস্ত টেলিকম অপারেটরই প্রিপেড ও পোস্টপেড মোবাইল কানেকশনের দাম ১৫% পর্যন্ত বাড়িয়েছে। মোবাইল এখন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই মোবাইলের খরচ বাড়ায় তার সরাসরি প্রভাব পড়ছে পকেটে। অনেক অপারেটরই আগে যে দামে প্রতিদিন ২ জিবি ডেটা দিত এখন সেখানে দিচ্ছে দৈনিক দেড় জিবি ডেটা। ব্যয় রকেটগতিতে বাড়লেও আপনার আয় সীমিত। তাই এই পরিস্থিতিতে স্মার্টফোনের ডেটা খরচ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।
কীভাবে স্মার্টফোনে দৈনিক ডেটা খরচ নিয়ন্ত্রণ করবেন
১) অনেক টেলিকম অপারেটর দেশের সব টেলিকম সার্কেলে ৫জি সার্ভিস চালু করেছে। আপনার স্মার্টফোনের ডিফল্ট নেটওয়ার্ক মোড যদি ৫জি হয় তা হলে বেশি ডেটা খরচ হবে। ডেটা খরচ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফোনের সেটিংসে গিয়ে ৪জি করে নিন।
২) স্মার্টফোনের অনেক অ্যাপ বেশি ডেটা খরচ করে। প্রয়োজনীয় না হলে সে সব অ্যাপ আনইন্সটল করুন। ফোনের সেটিংসে গিয়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপশনে ক্লিক করে ডেটা ইউসেজ অপশনে ক্লিক করুন। দেখে নিন কোন অ্যাপ ব্যবহারে কত ডেটা খরচ হচ্ছে।
৩) অনেক অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে ডেটা খরচ করে থাকে। এটা বন্ধ করতে ডেটা সেভার মোড সক্রিয় করুন।
৪) সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম থেকে এইচডি ছবি বা ভিডিও ডাউনলোড করবেন না। স্ট্যান্ডার্ড মোড বেছে নিন।
৫) অ্যাপের অটো আপডেট বন্ধ করে রাখুন। ডেটা খরচ কম হবে।
মোবাইল অপারেটররা মোবাইলের খরচ বাড়ানোয় অনেকেই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিএসএনএলের দিকে ঝুঁকছেন।
নিজের নম্বর একই রেখে কী করে পোর্ট করবেন বিএসএনএলে
১) নিজের মোবাইল থেকে এসএমএস-এ ‘PORT space’ কথাটি লিখে ১০ ডিজিটের মোবাইল নম্বর লিখুন। এবার এসএমএস পাঠিয়ে দিন ১৯০০ নম্বরে। একটা ইউনিক পোর্টিং কোড আসবে মোবাইলে। এটা বৈধ থাকবে ১৫ দিন।
২) বিএসএনএলের অথোরাইজড কাস্টমার কেয়ার বা ফ্র্যাঞ্চাইজি বা দোকানদারের সঙ্গে যোগাযোগ করে মোবাইল নম্বর পোর্টিং করার অনুরোধ জানান। আবেদনপত্র পূরণ করে জমা দিন। প্রয়োজনীয় নথিপত্র সমেত জমা দেবেন। নতুন বিএসএনএলের সিম কার্ড আপনার নামে ইস্যু করা হবে। বিএসএনএল থেকে পোর্টিংয়ের নির্ধারিত সময়সীমা জানানো হবে।
আরও পড়ুন
নিজের নম্বর শেয়ার না করেই কীভাবে হোয়াটসঅ্যাপে অন্যদের সঙ্গে সংযুক্ত হবেন