ভারতের জিওস্টেশনারি কৃত্রিম উপগ্রহর সাহায্যে ভারতের মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ইসরো এবার বজ্রপাতের আগাম পূর্বাভাস দেবে। এমনই ঘোষণা করেছে ইসরো।
ইসরোর অধীনস্থ ন্যাশনাল রিমোট সেনসিং সেন্টার এই অসাধ্য সাধন করেছে।
ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের বিজ্ঞানীদের মতে বজ্রপাত একটি জটিল প্রক্রিয়া। আবহাওয়ার পরিমণ্ডলের অধীনে ট্রোপোস্ফিয়ারে একাধিক কনভেক্টিভ প্রক্রিয়া এর সঙ্গে জড়িত। সারফেস রেডিয়েশন, তাপমাত্রা ও বায়ুর গতিবেগ ও দক এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ইসরো ও ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টারের বিজ্ঞানীরা ইনস্যাট-থ্রি ডি কৃত্রিম উপগ্রহ মারফত আউটগোয়িং লংওয়েভ রেডিয়েশনের সাহায্যে বজ্রপাতের সিগনেচার চিহ্নিত করতে পেরেছে। আউটগোয়িং লংওয়েভ রেডিয়েশন বা ওএলআরের শক্তি কমলে বজ্রপাতের আশঙ্কা বাড়ে।

ইনস্যাট-থ্রি ডি কৃত্রিম উপগ্রহর রিয়েল টাইম পর্যবেক্ষণ ব্যবহার করা হয় বজ্রপাতের আগাম পূর্বাভাস দিতে। বিজ্ঞানীরা নিখুঁত পূর্বাভাস দিতে ভূমির তাপমাত্রা ও বায়ুর গতিবেগকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন।
এদিকে, নয়াদিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে, বজ্রপাত-সহ প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে ১০-১১ এপ্রিল পূর্ব ও মধ্য ভারতে ১২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিহারে ৮২ জনের, উত্তর প্রদেশে ২৩ জনের, ছত্তিশগড়ে ৬ জনের, ঝাড়খণ্ডে ৫ জনের আর ওড়িশায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মধ্য প্রদেশ, ওড়িশা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্র ও ছত্তিশগড় বজ্রপাতপ্রবণ এলাকা বলে পরিচিত।