ইউপিআই লেনদেন সংক্রান্ত নতুন নিয়ম চালু করতে চলেছে জাতীয় পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (এনপিসিআই)। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে। মূলত, চার্জব্যাকের স্বয়ংক্রিয় গ্রহণ ও প্রত্যাখ্যান প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত করতে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে।
বর্তমানে, অর্থ প্রেরক ব্যাংক T+0 থেকে চার্জব্যাকের জন্য আবেদন করতে পারে, যা অনেক সময় গ্রাহক ব্যাংকের পক্ষে পুনসংযোজন ও লেনদেন ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করে। এতে বিলম্ব হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে চার্জব্যাক বাতিল হলে রিজার্ভ ব্যাংকের (RBI) পক্ষ থেকে জরিমানাও করা হয়।
নতুন নিয়ম কী বলছে?
নতুন ব্যবস্থায় ট্রানজাকশন ক্রেডিট কনফার্মেশন (TCC) ব্যবহার করে চার্জব্যাক স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করা হবে। এতে ম্যানুয়াল হস্তক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা কমবে এবং বিলম্বও হ্রাস পাবে।
এনপিসিআই-এর মতে, এই নিয়ম শুধুমাত্র বাল্ক আপলোড ও ইউনিফায়েড ডিসপিউট রেজোলিউশন ইন্টারফেস (UDIR)-এর জন্য প্রযোজ্য। তবে এটি সামনের সারির বিরোধ নিষ্পত্তি ব্যবস্থার (ফ্রন্ট-এন্ড ডিসপিউট রেজোলিউশন) ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
এই নতুন নিয়মের ফলে লাভবান হবে গ্রাহক ব্যাংকগুলি, কারণ তাদের কাছে লেনদেন পুনসংযোজনের জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকবে।
চার্জব্যাক কেন হয়?
চার্জব্যাক সাধারণত তখন ঘটে, যখন কোনও ইউপিআই লেনদেন প্রথমে অনুমোদিত হয়, কিন্তু পরে তা বাতিল করা হয়।
এর প্রধান কারণগুলি হল গ্রাহক লেনদেনটি স্বীকার না করা বা ব্যাংকের সঙ্গে দ্বন্দ্ব। প্রদত্ত পণ্যের ডেলিভারি না হওয়া সত্ত্বেও অর্থ কেটে নেওয়া। একই লেনদেন একাধিকবার হয়ে যাওয়া। এবং প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে ভুল লেনদেন হয়ে যাওয়া।
নতুন ব্যবস্থার সুবিধা
চার্জব্যাক প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে।
লেনদেন সংক্রান্ত জটিলতা কমবে।
ব্যাংক ও গ্রাহকদের পুনসংযোজন প্রক্রিয়া দ্রুত হবে।
অযথা জরিমানা এড়ানো যাবে।
এই নতুন নিয়ম ইউপিআই লেনদেন আরও স্বচ্ছ ও কার্যকর করতে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।