হিমালয়ের কোলে সিকিমের গর্ব— কাঞ্চনজঙ্ঘা ন্যাশনাল পার্ক এবার পেল আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিশেষ স্বীকৃতি। দ্য ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচার (IUCN) পার্কটিকে ন্যাচারাল ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট তালিকায় ‘good’ রেটিং দিয়েছে। সিকিমের অভয়ারণ্যর সংরক্ষণ ব্যবস্থা, জীববৈচিত্র্য রক্ষা, এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সামগ্রিক সাফল্যের ভিত্তিতেই এই রেটিং প্রদান করা হয়েছে।
২০১৬ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয় কাঞ্চনজঙ্ঘা ন্যাশনাল পার্ক। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব— দুই দিক থেকেই এটি ভারতের প্রথম মিক্সড ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। এবার আইইউসিএন-এর রেটিং তাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিল।
বিরল জীববৈচিত্র্যের ভাণ্ডার
১৭৮৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই পার্কের বিস্তার কাঞ্চনজঙ্ঘার পাদদেশ থেকে চূড়া পর্যন্ত। পার্কটিতে রয়েছে—
- ২৮০টি হিমবাহ
- ৭০টি হিমবাহ-সৃষ্ট হ্রদ
- ৫৫০ প্রজাতির পাখি
এছাড়াও স্নো লেপার্ড, ক্লাউডেড লেপার্ড, রেড পান্ডা, ব্লু শিপ, হিমালয়ান থরের মতো বহু বিপন্ন ও বিরল প্রাণীর বসবাস এই অভয়ারণ্যে।
আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব
কাঞ্চনজঙ্ঘা ন্যাশনাল পার্ক শুধু জীববৈচিত্র্যের নয়, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরও এক মহামূল্য সম্পদ। তিব্বতীয় বৌদ্ধদের কাছে এটি অত্যন্ত পবিত্র স্থান। লেপচা আদিবাসী সম্প্রদায়ের কাছেও এই অঞ্চল ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক দিক থেকে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
আইইউসিএন-এর এই ‘good’ রেটিং প্রমাণ করল— সিকিমের বন, পরিবেশ ও স্থানীয় সম্প্রদায় মিলিতভাবে এই বিশ্ব ঐতিহ্যকে দারুণভাবে রক্ষা করে চলেছে।


