দার্জিলিং: ঠিক এই সময় থেকেই পর্যটন মরশুমে ভাটা পড়তে শুরু করে। গরমের ছুটির পরে ছেলেমেয়েদের স্কুল খুলে যায়। এসে যায় বর্ষারও মরশুম। কিন্তু এবার যেন ছবিটা একেবারে উলটো। সবাই যেন ভোট পর্যন্ত অপেক্ষা করছিল। নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতেই দার্জিলিঙে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে।
শেষ দফার ভোটের পর পর্যটক সমাগম আবার বাড়তে শুরু করেছে দার্জিলিঙে। সোমবার থেকেই কলকাতার বেশির ভাগ স্কুল খুলে যাবে। অথচ এখন দার্জিলিঙের হোটেল এবং গাড়ি ব্যবসায়ীরা বুকিং পাচ্ছেন। তাঁদের কাছে এখনও খোঁজখবর নিচ্ছেন পর্যটকরা, একেবারে এ মাসের শেষ পর্যন্ত হোটেল-গাড়ি বুকিং নিয়ে খোঁজখবর চলছে।
হোটেলে আগাম বুকিং না করে অনেকেই দার্জিলিং-এ উপস্থিত হচ্ছেন। এমনও হয়েছে, রাতে দার্জিলিং-এ পৌঁছে হোটেলে জায়গা না পেয়ে অনেকেই ম্যালে রাত কাটিয়ে পরের দিন সকালে পাহাড়ের অন্যত্র চলে গিয়েছেন । পর্যটকদের চাহিদা পূরণ করতে দার্জিলিং হিমালয়ান রেল (ডিএইচআর) পরিষেবা বাড়িয়েছে।
দার্জিলিং অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্রাভেল এজেন্টস-এর (ডিএটিএ) তরফে বলা হয়েছে, ২০ জুন পর্যন্ত দার্জিলিং-এর সমস্ত হোটেল বুক্ড। শৈলশহরে এ বছরের জুনে পর্যটকদের যা ভিড় হচ্ছে তা কোভিড-পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে বেশি।

কেভেন্টার্সের সামনে ব্রেকফাস্টের লাইন। ছবি: শ্রয়ণ সেন।
ডিএটিএ-র সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ লামা বলেন, “২০ জুন পর্যন্ত এখানকার সব হোটেলে বুকিং রয়েছে। আমাদের আশা এ মাসের শেষ পর্যন্ত পর্যটকদের এই ভিড় চলবে। কারণ ভোটের জন্য যাঁরা ভ্রমণ পিছিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁরা আসতে শুরু করেছেন। এখন তো ভোট শেষ। তাই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের মারাত্মক গরম থেকে বাঁচতে সবাই দার্জিলিঙে ভিড় জমাচ্ছেন।”
প্রদীপ লামা আরও বলেন, গত পাঁচ বছরে এত ভিড় হয়নি দার্জিলিঙে। হোটেলে তিলমাত্র জায়গা না পেয়ে অনেকেই ফিরে গিয়েছেন।’
দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের অতিরিক্ত পরিষেবা
দার্জিলিং-এ এত পর্যটক সমাগম হয়েছে যে, দার্জিলিং হিমালয়ান রেল (ডিএইচআর) আর-একটি অতিরিক্ত ডিজেলচালিত টয় ট্রেন বাড়িয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই পরিষেবা পাওয়া যাবে। একটি অতিরিক্ত ট্রেন চালালে আরও ৮৯ যাত্রীকে নেওয়া যায়। “পার্বত্য ট্রেনের জন্য পর্যটকদের ক্রমবর্ধমান আগ্রহ দেখে জয়-রাইডের জন্য আমরা একটি অতিরিক্ত টয় ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি”, জানান ডিএইচআর-এর অধিকর্তা অরবিন্দ মিশ্র।
ডিএইচআর দার্জিলিং-ঘুম-দার্জিলিং জয়-রাইড সার্ভিসে ১০টি ট্রেন চালায়। এর মধ্যে ৪টি স্টিমচালিত এবং ৬টি ডিজেলচালিত টয় ট্রেন।
আরও পড়ুন
কার্শিয়াংয়ে বাণিজ্যিকভাবে চালু হচ্ছে প্যারা গ্লাইডিং পরিষেবা