Homeবিজ্ঞানপ্রতীক্ষার পালা শেষ, শ্রীহরিকোটা থেকে ১৩ জুলাই পাড়ি দিচ্ছে চন্দ্রযান-৩

প্রতীক্ষার পালা শেষ, শ্রীহরিকোটা থেকে ১৩ জুলাই পাড়ি দিচ্ছে চন্দ্রযান-৩

অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে আগামী ১৩ জুলাই চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।

প্রকাশিত

চন্দ্রযান-৩ (Chandrayaan-3)-এর কাউন্টডাউন শুরু। এর উৎক্ষেপণের তারিখও প্রকাশ্যে এসেথে। অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে আগামী ১৩ জুলাই চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করবে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO)। ঠিক কখন লঞ্চ হবে, সে সব তথ্যও সামনে এসেছে।

চন্দ্রযান-৩: কবে কখন উৎক্ষেপণ

ইসরো প্রধান এস সোমনাথ জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত এবং এটি জুলাই মাসে উৎক্ষেপণ করা হবে।

জানা গিয়েছে, ১৩ জুলাই দুপুর আড়াইটের সময় শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপণ করা হবে চন্দ্রযান-৩। ইসরো আধিকারিকদের মতে, চন্দ্রপৃষ্ঠে নিরাপদ অবতরণ এবং কক্ষপথে এন্ড-টু-এন্ড ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্য এটি চন্দ্রযান-২-এর একটি ফলো-আপ মিশন। এটিতে একটি ল্যান্ডার এবং রোভার কনফিগারেশন রয়েছে।

কী এই চন্দ্রযান-৩ মিশন

চন্দ্রযান-৩ মিশন হল চন্দ্রযান-২-এর ফলোআপ মিশন। ভারত ২০১৯ সালে চন্দ্রযান-২-এর মাধ্যমে এই মিশনটি অর্জন করার চেষ্টা করেছিল। তবে মিশনটি সফল হয়নি। এরপর চন্দ্রযান-৩-এর বিষয়টি উঠে আসে এবং এখন চন্দ্রযান-৩-এর উৎক্ষেপণের তারিখও প্রকাশ্যে এসেছে।

বলে রাখা ভালো, এর আগের বার চাঁদে অবতরণের আগে চন্দ্রযানের ল্যান্ডার বিক্রম কয়েক কিলোমিটার উচ্চতায় ধ্বংস হয়ে যায়। সেই সময়, ল্যান্ডিং সাইটের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণে অবতরণও সফল ভাবে করানো সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন: আড়াই মাস পর ‘চন্দ্রযান ২’-এর ল্যান্ডার ধ্বংসের কথা মেনে নিল ইসরো

এ বারে মিশনের সাফল্য নিশ্চিত করতে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে ইসরো। চন্দ্রযান-৩ মিশনে চন্দ্রযান-২-এর মতো একটি ল্যান্ডার এবং রোভার থাকবে কিন্তু অরবিটার বহন করবে না। প্রপালশন মডিউল, একটি যোগাযোগ রিলে স্যাটেলাইটের মতো আচরণ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। চাঁদের কক্ষপথ থেকে ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত ল্যান্ডার এবং রোভার বহন করবে মহাকাশযানটি।

মিশনের একটি মূল সংযোজন হল স্পেকট্রো-পোলারিমেট্রি অব প্ল্যানেট আর্থ (SHAPE) পেলোডের অন্তর্ভুক্তকরণ। এই সরঞ্জামটি চাঁদের কক্ষপথ থেকে পৃথিবীর বর্ণালী এবং পোলারিমেট্রিক পরিমাপ খতিয়ে দেখার ক্ষমতা রাখবে। যা বিজ্ঞানীদের মূল্যবান তথ্য সরবরাহ করবে।

নতুন করে বলার নয়, মিশনটি শুধু ভারতের জন্য নয়, সারা বিশ্বের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের জন্যও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এটি আগের মিশনগুলি থেকে প্রাপ্ত জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে তৈরি। ভবিষ্যতে চাঁদ এবং আন্তঃগ্রহ অনুসন্ধানের জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষমতাগুলিকে শক্তিশালী করে তুলে এই মিশন।

📰 আমাদের পাশে থাকুন

নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

💠 সহায়তা করুন / Support Us

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

এআইএফএফ সুপার কাপ ২০২৫-২৬: গোলশূন্য ডার্বি, মোহনবাগানকে আটকে সেমিফাইনালে ইস্টবেঙ্গল

ভুবনেশ্বর: শুক্রবার ভুবনেশ্বরে আয়োজিত এআইএফএফ সুপার কাপের গ্রুপ ‘এ’-এর শেষ ম্যাচে ঐতিহ্যবাহী কলকাতা ডার্বিতে...

শনিবার ভোর ৪টা ২৫ মিনিটে ইতিহাস! মুক্তি পেল জুবিন গার্গের স্বপ্নের ছবি ‘রৈ রৈ বিনালে’

অরূপ চক্রবর্তী, গুয়াহাটি: কখনও কখনও কোনো শিল্পী শুধুমাত্র মানুষ নন, হয়ে ওঠেন এক অনুভূতি,...

অভিষেক শর্মার ৩৭ বলে ৬৮ কাজে দিল না, দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে ভারতকে মাত করল অস্ট্রেলিয়া

ভারত: ১২৫ (১৮.৪ ওভার) (অভিষেক শর্মা ৬৮, হর্ষিত রানা ৩৫, জোশ হ্যাজলউড ৩-১৩, নাথান...

এসআইআর আতঙ্কে জন্ম-মৃত্যু সার্টিফিকেট নেওয়ার ভিড়, হায়রানি রুখতে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুরসভা, আশ্বাস মেয়রের

এসআইআর আতঙ্কে জন্ম ও মৃত্যু সনদের জন্য ভিড় বাড়ছে কলকাতা পুরসভায়। মেয়র ফিরহাদ হাকিম আশ্বাস দিয়েছেন, পুরসভা দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। তবে অভিযোগ উঠছে দালালচক্র ও অনলাইন চ্যাটবট পরিষেবার ধীরগতির বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন

চেরাপুঞ্জির বৃষ্টিতে প্রযুক্তির পাঠ: 5G ও 6G নেটওয়ার্ক উন্নয়নে এনআইটি–নেসাকের গবেষণা অভিযান

অরূপ চক্রবর্তী, গুয়াহাটি: বিশ্বের সর্বাধিক বৃষ্টিপ্রবণ অঞ্চল সোহরায়, যা একসময় চেরাপুঞ্জি নামে পরিচিত ছিল,...

ভোঁতা ছুরি নয়! ধারালো ছুরিই বাঁচাবে চোখের জল— পেঁয়াজ কাটলে কেন কান্না আসে, জানালেন বিজ্ঞানীরা

পেঁয়াজ কাটলে চোখে জল আসে কেন? ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সের গবেষণায় মিলল উত্তর। ভোঁতা ছুরিতে পেঁয়াজ কাটলেই বেরোয় ঝাঁজালো এরোজল, যা চোখে জ্বালাভাব তৈরি করে। ধারালো ছুরিই পারে এই বিপত্তি কমাতে।

পশ্চিমঘাটে মিলল ৪ নতুন প্রজাতির উদ্ভিদ! কর্নাটকের গবেষকদের যুগান্তকারী আবিষ্কার

কর্নাটকের ধারওয়াড়ের একদল গবেষক পশ্চিমঘাট পর্বতমালায় আবিষ্কার করলেন ৪টি নতুন উদ্ভিদ প্রজাতি। ইউনেস্কো স্বীকৃত এই জীববৈচিত্র্যময় অঞ্চলের গবেষণায় যুক্ত হলো নতুন পালক।