Homeখবররাজ্যকলকাতার দুটি লোকসভা আসনের জন্য ২৪৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

কলকাতার দুটি লোকসভা আসনের জন্য ২৪৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী

প্রকাশিত

খবর অনলাইন ডেস্ক: শনিবার ১ জুন লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোট। দেশের ৭টি রাজ্য এবং ১টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৫৭টি কেন্দ্রে এ দিন ভোট নেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গের ৯টি কেন্দ্রে ভোট নেওয়া হবে, যার মধ্যে রয়েছে কলকাতা শহরের ২টি কেন্দ্র – কলকাতা উত্তর এবং কলকাতা দক্ষিণ। এই দুটি কেন্দ্রের জন্য নির্বাচন কমিশন ২৪৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কলকাতা উত্তর এবং কলকাতা দক্ষিণ মিলিয়ে মোট ৩৯৪৭টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। ২৪৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মানে ২৪৬০০ আধাসেনাকর্মী। অর্থাৎ এক একটি ভোটকেন্দ্রে গড়ে সাড়ে ৬ জন করে আধাসেনাকর্মী মোতায়েন থাকবেন।

সাম্প্রতিক কালে কলকাতার ভোটে এত বিপুল সংখ্যক আধাসেনাকর্মী মোতায়েন করার নজির নেই। নির্বাচন কমিশনের কাছে যে তথ্য আছে তা থেকে জানা যায়, শহরের ৪.৬% ভোটকেন্দ্র সংবেদনশীল। কলকাতা শহরে যে ৩৯৪৭টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে তার মধ্যে ২০৭৮টি কলকাতা দক্ষিণে এবং ১৮৬৯টি কলকাতা উত্তরে। এর মধ্যে ১৮৩টি ভোটকেন্দ্র সংবেদনশীল।

কমিশনের তথ্য অনুযায়ী কলকাতা উত্তরে ১১৭টি এবং কলকাতা দক্ষিণে ৬৬টি ভোটকেন্দ্র সংবেদনশীল। কমিশনের এক আধিকারিক বলেন, “ষষ্ঠ দফায় কিছু বিক্ষিপ্ত হিংসাত্মক ঘটনার পর কমিশন সপ্তম তথা শেষ দফায় পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত যে সব খুঁটিনাটি বিষয় আছে সে সব পুঙ্খানুপুঙ্খ খতিয়ে দেখে কমিশন নানা রকম পরিবর্তন করেছে। কমিশন চায় রাজ্যের ৯টি কেন্দ্রের ভোট যেন পুরোপুরি হিংসাত্মক ঘটনাশূন্য হয়।”

কমিশনের সিইও আরিজ আফতাব, স্পেশ্যাল পুলিশ অবজারভার অনিল কুমার শর্মা এবং স্পেশ্যাল জেনারেল অবজারভার অলক সিনহার এক ভার্চুয়াল বৈঠকে দেখা গিয়েছে, বেশির ভাগ সমস্যাই তৈরি হয়েছে ভোটকেন্দ্রের চৌহদ্দির বাইরে। তাই ঘটনা ঘটার ১০ মিনিটের মধ্যে কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) যাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়, সেই ব্যাপারটি সুনিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

রাজ্যের অন্যান্য কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী

শনিবার কলকাতা দক্ষিণ এবং কলকাতা উত্তর ছাড়া রাজ্যের আর যে ৭টি আসনে ভোট হচ্ছে সেগুলি হল দমদম, বারাসত, বসিরহাট, যাদবপুর, জয়নগর, মথুরাপুর এবং ডায়মন্ড হারবার। এই ৭টি আসনে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৭৪৭০। এর মধ্যে ৩৬৮২টি অর্থাৎ ২১% ভোটকেন্দ্র সংবেদনশীল।

সবচেয়ে বেশি সংবেদনশীল ভোটকেন্দ্র রয়েছে বসিরহাটে। বিতর্কিত সন্দেশখালি এই বসিরহাট কেন্দ্রের অন্তর্গত। এই কেন্দ্রে মোট ভোটকেন্দ্র ১৮৮২, তার মধ্যে প্রায় ৫৮ শতাংশ অর্থাৎ ১০৯৬টি ভোটকেন্দ্র সংবেদনশীল। বসিরহাটের জন্য ৮১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানো হয়েছে।

কলকাতা ও বসিরহাট ছাড়া যাদবপুরে ১৬০, দমদমে ১৭৫, ডায়মন্ড হারবারে ১১০, বারাসতে ৮১ এবং জয়নগর ও মথুরাপুরের জন্য ১১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরও পড়ুন

লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শেষ, শনিবার শেষ দফায় পশ্চিমবঙ্গের ৯টি কেন্দ্র-সহ ৫৭টি আসনে ভোট             

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

৮৯তম বর্ষে কাঁকুড়গাছি মিতালীর পুজো থিম ‘সখের বাজার’

শারদোৎসবে ৮৯তম বর্ষে কাঁকুড়গাছি মিতালীর থিম ‘সখের বাজার’। স্বপ্ন ও কল্পনার জগৎকে কেন্দ্র করে তৈরি হচ্ছে অভিনব বাজারসদৃশ মণ্ডপ।

বাবুবাগানের পুজোয় রাজপ্রাসাদে বাংলার লোকসংস্কৃতির মিলনমেলা

দক্ষিণ কলকাতার ঐতিহ্যবাহী বাবুবাগানের দুর্গাপুজোয় এবছর থিম বাংলার লোকসংস্কৃতি। বিশালাকার রাজপ্রাসাদের আদলে গড়ে উঠছে মণ্ডপ, যেখানে বিভিন্ন লোকশিল্পী নৃত্য-গানে মুখরিত করবেন পরিবেশ।

মহালয়া থেকে দেবীপক্ষের প্রথম দু’দিন: দক্ষিণবঙ্গে টুকটাক বৃষ্টি, উত্তরবঙ্গে ভারী বর্ষণের আশঙ্কা

দেবীপক্ষের শুরুতে দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি, উত্তরবঙ্গে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা। ২৩ সেপ্টেম্বরের পর নিম্নচাপের গতিপথেই নির্ভর করবে পুজোর আবহাওয়া।

বৃহস্পতিবার থেকে শহরের বাজারে বাংলাদেশের ইলিশ, দাম শুনেই চোখ কপালে উঠবে

বিশ্বকর্মা পুজোর ছুটিতে সামান্য দেরি হলেও মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত প্রায় ৫০ টন ইলিশ ঢুকল পেট্রাপোলে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কলকাতার পাইকারি ও খুচরো বাজারে বিক্রি শুরু হবে।

আরও পড়ুন

মহালয়া থেকে দেবীপক্ষের প্রথম দু’দিন: দক্ষিণবঙ্গে টুকটাক বৃষ্টি, উত্তরবঙ্গে ভারী বর্ষণের আশঙ্কা

দেবীপক্ষের শুরুতে দক্ষিণবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি, উত্তরবঙ্গে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা। ২৩ সেপ্টেম্বরের পর নিম্নচাপের গতিপথেই নির্ভর করবে পুজোর আবহাওয়া।

বর্ষা বিদায় নিতে শুরু করলেও পুজোয় বৃষ্টির হাত থেকে নিস্তার নেই পশ্চিমবঙ্গের

এবার পুজোটাই পড়েছে বর্ষাতে। তাই বর্ষার আর কী দোষ! বৃষ্টি হবেই। কিছু করার নেই।

নির্ধারিত সময়ের আগেই রাজস্থানে বর্ষা বিদায়, পশ্চিমবঙ্গে কবে?

রাজস্থানের পশ্চিম প্রান্ত থেকে নির্ধারিত সময়ের তিন দিন আগেই বর্ষার বিদায়যাত্রা শুরু। পঞ্জাব-গুজরাট থেকেও বিদায় নেবে বর্ষা। এদিকে দিঘায় ১২ ঘণ্টায় রেকর্ড ১৯৮ মিমি বৃষ্টি।