যাঁকে ছাড়া বাঙালির জীবন অচল, বাঙালির প্রাণের ঠাকুর গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ তাঁর ‘শিশু ভোলানাথ’-এ লিখে গেছেন, ‘দূরকে খুঁজে খুঁজে শেষে মায়ের কাছে ফিরতে হয়’। মায়ের কোনো বিকল্প হয় না।
মাতৃশক্তির উপাসক বাঙালির কাছে সকল শক্তির উৎস হল একদিকে জন্মদায়িনী মা অন্যদিকে বরাভয়দায়িনী মা দুর্গা। মা দুর্গা আমাদের সমস্ত শক্তির উৎস, যাঁর আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে আমাদের জীবনযুদ্ধে শামিল হতে হয়। কিন্তু এই মা দুর্গার পুজোয় কেন লাগবে বাহ্যিক আড়ম্বরের প্রয়োজন? ভক্তিভরে উপাসনাই তো একমাত্র দরকার।

কাজ চলছে জোরকদমে। ছবি: রাজীব বসু।
এ বছরের দুর্গাপুজোর মাধ্যমে সেই বার্তাই দিচ্ছে কলকাতার অন্যতম বড়ো পুজো কমিটি ‘মিতালী কাঁকুড়গাছি’। তাদের এবারের ভাবনা ‘উপাসনা’। পুজোর ভাবনা ও সৃজনের দায়িত্বে রয়েছেন বিশিষ্ট থিমশিল্পী প্রশান্ত পাল। এমনই জানিয়েছেন উত্তর কলকাতার এই পুজো কমিটির কর্তা নীলকমল পাল।
তাঁর কথায়, “আমাদের সকল শক্তির উৎস মা দুর্গার উপাসনায় লাগে না কোনো লোকদেখানো জাঁকজমক, বাহ্যিক আড়ম্বর। মায়ের আরাধনায় লাগে শুধু অন্তরের ভক্তি, হৃদয়ের বাসনা। ভক্তিপূর্ণ এই উপাসনাতেই আমাদের নির্বাণ, আমাদের মুক্তি। আমাদের মায়ের পুজোয় জাঁকজমক, আড়ম্বর না থাকলেও মনের ভক্তির কোনো অভাব নেই। আমাদের মায়ের গায়ে দামি পোশাকআশাক বা গয়না না থাকলেও আমাদের জগজ্জননী মায়ের রূপ-তেজের কোনো অভাব নেই। নীল আকাশের নীচে, বাঁশ বাগানের মাঝে আমাদের মায়ের নিবাস। আমরা মনের প্রার্থনা, ভক্তির শক্তি দিয়েই মায়ের আরাধনা করি দিনরাত।”
কোথায় এই মণ্ডপ
সিআইটি রোডে কাঁকুড়গাছি মোড় থেকে মানিকতলার দিকে ৩০০ মিটার।
আরও পড়ুন
দুর্গোৎসব ২০২৪: সমাজে আজও ‘আমরা-ওরা’, ব্রাত্যজনের কাহিনিকেই তুলে ধরছে শিবমন্দির


 
                                    