বাঙালির প্রিয় উৎসব দুর্গাপুজো আজ কার্নিভালের রূপ নিয়েছে। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো আজ বিশ্বজনীন। যে শহরকে ঘিরে এত আয়োজন, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে সেই কল্লোলিনী তিলোত্তমার সামনে নতজানু হয়ে সম্মান জানাতে প্রস্তুত উত্তর কলকাতার ঐতিহ্যবাহী পুজো আহিরীটোলা সার্বজনীন। এ বছরে তাদের পুজোর থিম হল ‘কেউ যদি আফ্রিকান হয়, তারও একটা উত্তর কলকাতা আছে…।’ সামগ্রিক ভাবে থিমের রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছেন শিল্পী অনির্বাণ দাস।
কলকাতা মহানগরী আজ আয়তনে এক জায়গায় থেমে নেই, মহানগরীর আয়তন রোজ বিস্তৃত হচ্ছে – উত্তর, দক্ষিণ, মধ্য, পূর্ব ও পশ্চিম। কিন্তু উত্তর কলকাতার মানুষ মনে করেন তিলোত্তমার আত্মা যেন রয়েছে উত্তরেই। গঙ্গার পাড়, সরু গলি, কুমোরটুলি, বাবুয়ানি, নিষিদ্ধপল্লী – একটা ফেলে আসা সময় যেন পাক খায় উত্তর কলকাতায়। এই অঞ্চলকে ঘিরে কত ইতিহাস, গল্প কথা বলে, কলকাতার গড়ে ওঠার কত চিহ্ন।
উত্তর কলকাতার বাসিন্দারা মনে করেন তিলোত্তমা কলকাতার আত্মা যদি হয় উত্তর কলকাতা, তাহলে উত্তর কলকাতার হৃৎপিন্ড অবশ্যই আহিরীটোলা। ‘আভীর’ মানে গয়লা। সেই ‘আভীর’ তথা ‘আহির’দের পাড়াই ‘আহিরীটোলা’, যাকে ঘিরে কলকাতার ইতিহাসটি বহমান আজও। ইতিহাস ঘাঁটাঘাঁটি করলে দেখা যায়, উজানের টান সামান্য কম হওয়ায় জোব চার্নকের তরী থেমে গিয়েছিল খানিক আগে। মাটির ঢাল এদিক-ওদিক হওয়ায় হাওড়া ব্রিজ তৈরি হল সামান্য ভাটিতে। সেতুবন্ধ হতে হতেও হয়নি। আবার হয়েওছে। আহিরীটোলার আশেপাশেই ব্রিটিশ আমলের সবচেয়ে বড়ো বাণিজ্যপথ, বাণিজ্যকেন্দ্র, নবজাগরণের নানা তীর্থস্থান –আরও কত কী।
কোথায় এই মণ্ডপ
উত্তর কলকাতায় বি কে পাল অ্যাভেনিউ এবং বেনিয়াটোলা স্ট্রিটের সংযোগস্থলে আহিরীটোলা সার্বজনীনের পুজোমণ্ডপ।