কলকাতা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। যা পরিণত হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’য়। এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় দুর্যোগের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সম্ভাব্য ঝড়ের মোকাবিলায় এবং সাধারণ মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ২৩ থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যের ৯ জেলায় সমস্ত স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাসকে গুরুত্ব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ২৩ অক্টোবর থেকে চার দিন কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়া জেলায় সব ধরনের স্কুল, কলেজ ও আইসিডিএস সেন্টার বন্ধ থাকবে।
ইতিমধ্যেই বিকাশ ভবন থেকে এই সংক্রান্ত একটি সরকারি নির্দেশিকা জারি হয়েছে। মঙ্গলবার স্কুল শিক্ষা দফতর নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, ২৩ তারিখ থেকে চারদিন ঝড়ের সতর্কতায় একাধিক স্কুল বন্ধ থাকবে।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরের উপর নিম্নচাপটি ক্রমে গভীরতর হচ্ছে এবং এটি শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবারের মধ্যে এই নিম্নচাপের গতিপথ এবং প্রভাব সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। তবে, উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজ্য প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে এবং সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, মৌসম ভবনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি পুরি (ওড়িশা) ও সাগর দ্বীপ (পশ্চিমবঙ্গ) অঞ্চলের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে। এর গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিমি হতে পারে এবং ঝোড়ো হাওয়ার গতিবেগ ১২০ কিমি পর্যন্ত বাড়তে পারে। সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবিলায় এবং মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে সতর্ক রয়েছে হাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন:
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’: পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশায় প্রস্তুত এনডিআরএফের ২৫টি দল