ভারত: ১৫০ (নীতীশ রেডি ৪১, ঋষভ পন্থ ৩৭, জোশ হ্যাজলউড ৪-২৯, মিশেল মার্শ ২-১২)
অস্ট্রেলিয়া: ১০৪ (মিচেল স্টার্ক ২৬, অ্যালেক্স ক্যারি ২১, জসপ্রীত বুমরাহ ৫-৩০, হর্ষিত রানা ৩-৪৮)
পার্থ: ‘টেস্ট ব্যাটসম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ আখ্যাই দেওয়া যেতে পারে তাঁকে, মিচেল স্টার্ককে। ভারতকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত কি ভারতের পক্ষে এগিয়ে থাকা সম্ভব হবে না? অবশেষে ভারতের ত্রাতা হিসাবে উদয় হলেন হর্ষিত রানা। তাঁর বলে ঋষভ পন্থকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন স্টার্ক। অস্ট্রেলিয়া অল আউট হল ১০৪ রানে। প্রথম ইনিংসে ভারত এগিয়ে থাকল ৪৬ রানে।
দুই দলের ইনিংস মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি বল খেললেন মিচেল স্টার্ক, ১১২ বল। করলেন ২৬ রান। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে সর্বোচ্চ রান। স্টার্ক তাঁর ২৬ রানে ২টো চারও মেরেছেন। অর্থাৎ ১১০ বলে করেছেন ১৮টা রান। কতটা ধৈর্য নিয়ে খেললে এটা করা যায়। টেস্ট ক্রিকেটে আদর্শ। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে সর্বোচ্চ রান। স্টার্ক যে ভাবে খেলছিলেন তাতে একসময়ে মনে হচ্ছিল, জোশ হ্যাজলউডকে সঙ্গে নিয়ে হয়তো তিনি ভারতের স্কোর পেরিয়ে যাবেন। সেটা হল না।
পার্থ টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকালে ৭ উইকেটে ৬৭ রান হাতে নিয়ে খেলতে নামে অস্ট্রেলিয়া। মাত্র ৩ রান যোগ হতেই বিদায় নেন অ্যালেক্স ক্যারি। জসপ্রীত বুমরাহ তাঁর ঝুলিতে পঞ্চম উইকেটটি ভরে নিলেন। ঋষভের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন ক্যারি। আরও ৯ রান যোগ হতে ফিরে গেলেন নাথান লিয়ন। তাঁকে তুলে নিলেন হর্ষিত রানা। ক্যাচ ধরলেন লোকেশ রাহুল।
এর পরেই খেল শুরু করলেন মিচেল স্টার্ক, হ্যাজলউডকে সঙ্গে নিয়ে। ভারতের সমর্থকদের প্রতীক্ষার আর অবসান হয় না! স্টার্ক-হ্যাজলউড জুটি টিকে থাকল ১৮ ওভার। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ৫১.২ ওভারের মধ্যে ১৮ ওভারই খেলল দশম উইকেটের জুটি। কী আশ্চর্য এই টেস্ট ক্রিকেট!


