কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও সড়ক মন্ত্রী নীতিন গডকড়ী মঙ্গলবার ভারতের ‘গিগ অর্থনীতির’ প্রশংসা করলেন। তাঁর মতে এই অর্থনীতি দেশের জন্য বৃহৎ পরিসরে কর্মসংস্থান তৈরির সুযোগ এনে দিয়েছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৭৭ লাখ ডেলিভারি কর্মী রয়েছেন, এবং এই সংখ্যা ২০৩০ সালের মধ্যে ২.৫ কোটিতে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
‘সাস্টেইনেবিলিটি অ্যান্ড ইনক্লুসিভিটি: রোল অফ দ্য প্ল্যাটফর্ম ইকোনমি’ শীর্ষক জোমাটোর একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে গডকড়ী বলেন, “২.৫ কোটি যুবকের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করা আমাদের দেশের একটি বড় সাফল্য। কর্মসংস্থান তৈরি করা আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার।”
কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ডেলিভারি ক্ষেত্রের ভূমিকা
গডকড়ী অনলাইন ফুড ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম জোমাটোর উদ্যোগের প্রশংসা করেন, যা দেশের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিচ্ছে। তিনি একে বেকারত্ব সমস্যার সমাধানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন।
সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ
যদিও ডেলিভারি ক্ষেত্রে কর্মসংস্থান বাড়ানোর উদ্যোগের প্রশংসা করেন গডকড়ী, তবে ডেলিভারি কর্মীদের সড়ক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সময়মতো ডেলিভারি দেওয়ার তাড়াহুড়ো তাদের দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
“ভারতে প্রতি ঘণ্টায় ৪৫টি সড়ক দুর্ঘটনা ও ২০টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, যার অধিকাংশ শিকার ১৮ থেকে ৪৫ বছরের মানুষ,” বলেন গডকড়ী। তিনি আরও জানান, প্রতি বছর দুই চাকার গাড়ির দুর্ঘটনায় ৮০,০০০ জন মারা যান, যার মধ্যে হেলমেট না পরার কারণে ৫৫,০০০টি মৃত্যু ঘটে। এছাড়াও, ভুল দিকে গাড়ি চালানোর কারণে প্রতি বছর ১০,০০০টি মৃত্যু হয়।
প্রশিক্ষণ ও সুরক্ষার ওপর গুরুত্ব
গডকড়ী বলেন, উপযুক্ত সুরক্ষা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। জোমাটোর পক্ষ থেকে ৫০,০০০ ড্রাইভারকে সুরক্ষা প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য তিনি তাদের প্রশংসা করেন।
“এই ধরনের উদ্যোগ মানুষের জীবন বাঁচাতে এবং রাস্তাগুলিকে সুরক্ষিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে,” বলেন তিনি।
📰 আমাদের পাশে থাকুন
নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
💠 সহায়তা করুন / Support Us

