নয়াদিল্লি: কলকাতা বিমানবন্দরে চালু হয়েছে ‘উড়ান যাত্রী ক্যাফে’, যেখানে সস্তায় জল, চা এবং স্ন্যাকস মিলবে। এই উদ্যোগের পেছনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন আম আদমি পার্টির সাংসদ রাঘব চাড্ডা। সংসদে বিমানবন্দরে অতিরিক্ত মূল্যে খাবার ও পানীয় বিক্রির বিষয়টি তোলার পর কেন্দ্র এই উদ্যোগ গ্রহণ করে।
রাঘব চাড্ডা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “আমি সংসদে বিষয়টি তুলে ধরেছিলাম এবং সরকারের কাছে বিমানযাত্রা আরও সাশ্রয়ী করার প্রতিশ্রুতি মনে করিয়ে দিয়েছিলাম। কলকাতা বিমানবন্দরে এই ক্যাফে চালু হওয়া একটি বড় পদক্ষেপ। আশা করি, দেশের অন্যান্য বিমানবন্দরও এই উদাহরণ অনুসরণ করবে।”
উড়ান যাত্রী ক্যাফে বর্তমানে একটি পাইলট প্রকল্প হিসাবে কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চালু হয়েছে। সাফল্যের পর এটি এয়ারপোর্ট অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (এএআই)-এর অধীনস্থ অন্যান্য বিমানবন্দরেও চালু করা হবে বলে জানিয়েছে অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক।
সংসদে রাঘব চাড্ডা বলেন, “জলের বোতলের দাম ১০০ টাকা, আর চা ২০০-২৫০ টাকা। সাধারণ যাত্রীদের কথা ভেবে বিমানবন্দরে সাশ্রয়ী মূল্যের ক্যান্টিন চালু করা উচিত।”
তার এই বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ প্রশংসিত হয়েছে। অনেকেই বলছেন, এটি সাধারণ মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। লাদাখের কাউন্সিলর কঞ্চক স্তানজিনও চাড্ডার এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, শীতকালে দেশের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন লাদাখিদের জন্য বিমানযাত্রার খরচ একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
চাড্ডা আরও অভিযোগ করেন, “সরকার বলেছিল, স্যান্ডেল পরা মানুষ বিমানযাত্রা করবে। এখন, যাঁরা বাটার জুতো পরেন, তাঁরাও বিমানের টিকিট কিনতে পারছেন না।” তিনি দিল্লি-মুম্বই এবং দিল্লি-পাটনা রুটের ভাড়া বৃদ্ধি উল্লেখ করে বলেন, এক বছরে ভাড়া ১০,০০০ থেকে ১৪,৫০০ টাকায় পৌঁছেছে।
বিমানবন্দরের উন্নয়নে সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণে এই পদক্ষেপ একটি ইতিবাচক দিক হিসাবে দেখা হচ্ছে। এখন দেখার, এটি অন্যান্য বিমানবন্দরে কত দ্রুত বাস্তবায়িত হয়।