দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের পর এবার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের দিকে নজর দিয়েছে বিজেপি। ২৭ বছর পর দিল্লিতে ক্ষমতায় ফেরা এই গেরুয়া শিবির সরকার গঠনের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলছে, যেখানে দলের শীর্ষ নেতারা সরকার গঠন ও নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করছেন।
বিজেপি এখনও তাদের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি। তবে শীর্ষ পদটি পেতে প্রতিযোগিতা তীব্র হয়ে উঠেছে, যেখানে বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার নাম সামনে এসেছে। এ দিনই বিজেপির নতুন নির্বাচিত বিধায়করা দিল্লি বিজেপি সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেবের সঙ্গে বৈঠক করবেন, যেখানে নেতৃত্ব ও মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে আলোচনা হবে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে শীর্ষ প্রার্থী কারা?
১. প্রবেশ বর্মা: শীর্ষ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন প্রবেশ বর্মা, যিনি দু’বারের সাংসদ ও প্রাক্তন বিধায়ক। নয়াদিল্লি আসনে আপ নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে হারানোর পর তাঁর সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সাহিব সিং বর্মার পুত্র প্রবেশ এনসিআর অঞ্চলের গ্রামীণ ও জাট ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছেন বলে ধারণা।
২. সতীশ উপাধ্যায়: মালব্যনগরের বিধায়ক ও দিল্লি বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি সতীশ উপাধ্যায়ের প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা ব্যাপক। তিনি এনডিএমসির ভাইস চেয়ারম্যানের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতাও যথেষ্ট।
৩. বিজেন্দ্র গুপ্ত: দিল্লি বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা ও রোহিনী আসনের বিধায়ক বিজেন্দ্র গুপ্ত একজন প্রবীণ নেতা। তাঁর মুখ্যমন্ত্রী হওয়া বিজেপির জন্য প্রভাবশালী বৈশ্য সম্প্রদায়ের সমর্থন জোরদার করতে পারে।
৪. রেখা গুপ্তা: শালিমারবাগ থেকে নির্বাচিত বিধায়ক ও বিজেপি মহিলা মোর্চার জাতীয় সহ-সভাপতি রেখা গুপ্তা দলের একজন শক্তিশালী নেত্রী। তিনি দিল্লি বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
৫. আশিস সুদ: জনকপুরি বিধায়ক আশিস সুদ দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ পঞ্জাবি মুখ। তিনি দিল্লি বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন এবং বর্তমানে গোয়া ও জম্মু-কাশ্মীর বিজেপির সহ-প্রभারীর দায়িত্বে রয়েছেন।
দিল্লিতে কি উপ-মুখ্যমন্ত্রী হবেন?
বিহার নির্বাচন আসন্ন এবং দিল্লির রাজনীতিতে পূর্বাঞ্চলীয় (পুর্বাঞ্চল) ভোটারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকায়, এই সম্প্রদায় থেকে কাউকে উপ-মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শীঘ্রই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত
বিজেপি সূত্রে খবর, আগামী ১০ দিনের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হতে পারে। তবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত তার আগেও আসতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচনের পাশাপাশি, সরকারে ভারসাম্যপূর্ণ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে উপ-মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ নিয়েও আলোচনা চলছে।