সরকারি প্রকল্পের অর্থ ব্যয়ের জন্য নির্ধারিত সময়সীমা বেঁধে দিল নবান্ন। লক্ষ্য, বরাদ্দ অর্থের সম্পূর্ণ ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং অব্যবহৃত টাকা ফেরত যাওয়া ঠেকানো। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে সমস্ত দফতরকে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে, যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, উন্নয়নমূলক কাজে কোনওরকম ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না।
প্রশাসনের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে, প্রতি অর্থবর্ষের শেষে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বেশ কিছু প্রকল্পের অর্থ খরচ না হওয়ায় তা ফেরত যাচ্ছে। এবার থেকে সেই সমস্যা রুখতে অর্থ ব্যয়ের নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সরকারি প্রকল্পের অর্থ যেন যথাযথ ভাবে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই খরচ করা হয় এবং খরচের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় থাকে। সামাজিক প্রকল্পগুলির জন্য রাজ্য বাজেটে বরাদ্দ অর্থ দ্রুত কাজে লাগানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, কর্মীদের বেতন, পেনশন, ভাতা এবং অন্যান্য অর্থপ্রদানের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে। সমস্ত দফতরকে জানানো হয়েছে, আগামী ২ এপ্রিলের মধ্যে সমস্ত বেতন, ভাতা ও মজুরি পরিশোধ করতে হবে। ট্রেজারি ও পে অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিসে বিল জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে চলতে বলা হয়েছে, যাতে শেষ মুহূর্তে সমস্যা না হয়।
সরকারি কর্মীদের বকেয়া, অবসরকালীন ভাতা এবং ট্রাভেল অ্যালাওয়েন্স সংক্রান্ত বিল জমার ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৮ মার্চের পর কোনও বিল ট্রেজারিতে পাঠানো যাবে না। আপত্তি তোলা বিল পুনরায় জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৭ মার্চ ধার্য করা হয়েছে।
নবান্নের এই নতুন নির্দেশনার ফলে উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হবে এবং বরাদ্দ অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।