রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১৯৬-৭ (রজত পাটীদার ৫১, ফিল সল্ট ৩২, নুর আহমদ ৩-৩৬, মতীশা পতিরানা ২-৩৬)
চেন্নাই সুপার কিংস: ১৪৬-৮ (রাচীন রবীন্দ্র ৪১, এম এস ধোনি ৩০ নট আউট, জোশ হ্যাজলউড ৩-২১, যশ দয়াল ২-১৮)
চেন্নাই: পর পর দুটো ম্যাচে প্রতিপক্ষকে তাদের ঘরের মাঠে পর্যুদস্ত করল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এ বারের আইপিএল-এর উদ্বোধনী ম্যাচে গত বারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ইডেনে হারিয়েছিল কোহলিদের দল। পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংসকে শুক্রবার তাদের ঘরের মাঠে নাকানিচোবানি খাওয়াল তারা। ঠিক ১৭ বছর পর এই ঘটনা ঘটল। ২০০৮-এ আইপিএল-এর প্রথম সংস্করণে চেন্নাইকে তাদের ঘরের মাঠে হারিয়েছিল বেঙ্গালুরু। তার পর থেকে প্রতিবারই চেন্নাই থেকে মাথা নিচু করে ফিরতে হয়েছে বেঙ্গালুরুকে। এ বার আবার ২০০৮-এর পুনরাবৃত্তি হল।
এবং আর-একটা রেকর্ড। আইপিএলে ঘরের মাঠে এই প্রথম এত বড় রানে হারল চেন্নাই। আর এর মূলে রয়েছে বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক রজত পাটীদারের ব্যাটিং এবং জোশ হ্যাজলউডের বোলিং। ৩২ বলে ৫১ রান করে ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন রজত পাটিদার।
চেন্নাইয়ের মাঠে ২০০ থেকে ৪ কমে থামল বেঙ্গালুরু
টসে জিতে বেঙ্গালুরুকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল চেন্নাই। চেন্নাইয়ের মাঠ খুব একটা ব্যাটিং সহায়ক নয়। সেই মাঠে প্রথমে ব্যাট করে বেঙ্গালুরু তুলল ৪ কম ২০০। অধিনায়ক রজত পাটীদারকে কিছুটা সঙ্গ দিলেন ফিল সল্ট, বিরাট কোহলি আর দেবদত্ত পড়িক্কল। ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে গিয়ে সল্ট আর কোহলি ভালোই টানছিলেন। ৫ ওভারে ৪৫ করার পর ফিরে গেলেন সল্ট (১৬ বলে ৩২ রান)। কোহলির সঙ্গী হলেন পড়িক্কল। প্রথমে পড়িক্কল (১৪ বলে ২৭ রান) এবং পরে কোহলি (৩০ বলে ৩১ রান) যখন আউট হলেন তখন দল পৌঁছে গেছে ১১৭ রানে। হাতে তখনও ৭.৪ ওভার।

জয়ের উল্লাস। ছবি Indian Super League থেকে নেওয়া।
পড়িক্কল আউট হওয়ার পরে কোহলিকে সঙ্গ দিতে নামেন অধিনায়ক। গোড়া থেকেই হাত খুলে খেলছিলেন রজত। কোহলি আউট হওয়ার পর লিয়াম লিভিংস্টোন এবং জিতেশ শর্মাকে সঙ্গী করে রজত দলের রান পৌঁছে দিলেন ১৭৬-এ। বাকি কাজটা সারলেন টিম ডেভিড। ঝড় তুললেন তিনি। মাত্র ৮ বলে করলেন ২২ রান, নট আউট। ৭ উইকেটে ১৯৬ করে শেষ করল বেঙ্গালুরু।
গোড়াতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ল চেন্নাই
জয়ের জন্য রান তাড়া করতে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ল চেন্নাই। ২৬ রানের মধ্যেই হারাল ৩ উইকেট। পতন ঠেকানোর চেষ্টা করলেন রাচীন রবীন্দ্র এবং শেষ দিকে রবীন্দ্র জাডেজা এবং এম এস ধোনি। কিন্তু কাজ হল না। রবীন্দ্র দর্শক হয়ে দেখতে লাগলেন দলের পতন। খুব দ্রুত চলে গেলেন রাহুল ত্রিপাঠী, রুতুরাজ গায়কোয়াড় আর দীপক হুডা। প্রথম ৩টি উইকেটের মধ্যে ২টিই তুলে নিলেন হ্যাজলউড।
তার পর সামান্য বিরতি। এর পর দলের ৫২ থেকে ৯৯ রানের মধ্যে চারটি উইকেট পড়ে গেল। ১৫.২ ওভারে ৭ উইকেটে ৯৯ করে চেন্নাই তখন ধুঁকছে। জয় তখনও ৯৭ রান দূরে। হাতে ২৮ বল। চেষ্টা করলেন জাডেজা। কিন্তু ১৯ বলে ২৫ করে তিনি যখন প্যাভিলিয়নের পথে পা বাড়ালেন তখনও জয় ৬৭ রান দূরে, হাতে মাত্র ৮ বল। ধোনি জানতেন এখান থেকে ম্যাচ বার করে সম্ভব নয়। তাই হাত খুলে খেললেন শেষ ওভারে। ৪৩ বছরের উইকেটকিপার-ব্যাটার দর্শকদের মনোরঞ্জন করলেন শেষ ওভারে ২টো ছয় আর ১টা চার মেরে। ১৬ বলে ৩০ রান করে নট আউট থাকলেন। ঠিক ৫০ রানে হেরে গেল চেন্নাই। ২টো ম্যাচের ২টোতেই জিতে আপাতত লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকল বেঙ্গালুরু।