কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১১৬ (১৬.২ ওভার) (অঙ্গকৃশ রঘুবংশী ২৬, অশ্বনী কুমার ৪-২৪, দীপক চাহর ২-১৯)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১২১-২ (১২.৫ ওভার) (রায়ান রিকেলটন ৬২ নট আউট, সূর্যকুমার যাদব ২৭ নট আউট, আন্দ্রে রাসেল ২-৩৫)
মুম্বই: দুটি দলই এ বারের আইপিএল-এ তাদের তৃতীয় ম্যাচটি খেলল। একটি দল তাদের প্রথম জয় পেল। আর-একটি দল দ্বিতীয় পরাজয় বরণ করে নিল। প্রথম দলটি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (এমআই) এবং দ্বিতীয় দলটি কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। ঘরের মাঠেই প্রথম জয় পেল মুম্বই।
শেষ পর্যন্ত অনামা অখ্যাত বাঁহাতি পেস বোলার অশ্বনী কুমারের বলে ঘায়েল হয়ে গেল কেকেআর। আর অশ্বনীকে সঙ্গ দিলেন দীপক চাহর। পুরো ২০ ওভার খেলতেও পারল না কলকাতা। ৩.৪ ওভার বাকি থাকতেই ১১৬ রানে গুঁড়িয়ে গেল তারা। আর মুম্বই জয়ের প্রয়োজনীয় রান তুলে নিল ৭.১ ওভার বাকি থাকতেই। মুম্বইয়ের জয়ের কারিগর দক্ষিণ আফ্রিকার মারকুটে ব্যাটার রায়ান রিকেলটন। এই জয়ে তাঁকে সঙ্গ দিলেন সূর্যকুমার যাদব। এ দিন ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ হলেন অশ্বনী কুমার।
পৌনে ২৪ কোটির খেলোয়াড় বেঙ্কটেশ এ বারেও ব্যর্থ
সোমবার মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আয়োজিত ম্যাচে টসে জিতে কেকে আর-কে ব্যাট করতে পাঠায় মুম্বই। তাদের সিদ্ধান্ত যে একেবারে সঠিক ছিল, তা অচিরেই বুঝিয়ে দিল কেকেআর। ইনিংসের একেবারে শুরু থেকেই সেই যে উইকেট পড়া শুরু হল তা আর থামেনি। দুই ওপেনার কুইন্টন ডিকক এবং সুনীল নারাইন দলের ২ রানের মধ্যেই বিদায় নিলেন। ডিকককে নিলেন দীপক চাহর আর নারাইনকে নিলেন ট্রেন্ট বোল্ট। অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে ৭ বলে ১১ রান করে অশ্বনীকে উইকেট দিলেন।

জয়ের নায়ক অখ্যাত অশ্বনী। ছবি Indian Premier league থেকে নেওয়া।
তখন সকলের লক্ষ্য পৌনে ২৪ কোটি টাকা দিয়ে কেনা বেঙ্কটেশ আয়ারের দিকে। যথারীতি তিনি আবার ব্যর্থ, এই নিয়ে বার বার তিন বার। একে একে উইকেট পড়তে থাকল। এরই মধ্যে কিছুটা পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করলেন অঙ্গকৃশ রঘুবংশী (১৬ বলে ২৬ রান) এবং রমনদীপ সিংহ (১২ বলে ২২ রান)। কেকেআর-এর মিড্ল অর্ডারের ব্যাটাররা আত্মসমর্পণ করলেন অশ্বনীর কাছে।
পয়েন্টস টেবিলের একেবারে নীচে কলকাতা
জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল ১১৭ রান। প্রথম দুটি ম্যাচের তুলনায় রোহিত শর্মা একটু ভালো ব্যাট করলেন। ১২ বলে ১৩ রান করে দলের ৪৬ রানের মাথায় তিনি আন্দ্রে রাসেলের শিকার হলেন। ওপর ওপেনার রিকেলটন এবং উইল জ্যাক্স রান টেনে নিয়ে গেলেন ৯১-এ। জ্যাক্সও রাসেলের শিকার হলেন। তবে খেলার ফল কী হত চলেছে তা তখন বোঝাই যাচ্ছিল। বাকি কাজটা অবিচ্ছেদ্য থেকে সমাধা করলেন রিকেলটন (৪১ বলে ৬২ রান) এবং সূর্যকুমার (৯ বলে ২৭)।
এ দিনের ম্যাচের পর দুই দলই ৩টি ম্যাচ থেকে ২টি করে পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে। তবে রানরেটের হিসাবে কলকাতা থাকল টেবিলের একেবারে নীচে এবং মুম্বই থাকল ষষ্ঠ স্থানে।