বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে দীর্ঘ ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে সাংসদ না থাকার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন এক ব্যক্তি। নির্বাচন কমিশনকে উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে নির্দেশ দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে।
জনস্বার্থ মামলা
বসিরহাটের বাসিন্দা গৌতম রায় কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলা করেন। তাঁর অভিযোগ, বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ হাজি শেখ নুরুল ইসলামের মৃত্যুর পর ছয় মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনও পর্যন্ত উপনির্বাচনের কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি নির্বাচন কমিশন। তাঁর মতে, নির্বাচন না করে গণতান্ত্রিক এবং সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করছে কমিশন।
পটভূমি
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হাজি শেখ নুরুল ইসলাম জয়ী হন। তিনি বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রকে ৩ লক্ষ ৩৩ হাজারের বেশি ভোটে হারান। কিন্তু নির্বাচনের কিছু মাস পর, দীর্ঘ অসুস্থতার পর গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। সেই থেকেই ওই আসনটি শূন্য রয়েছে।
উপনির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা
সংবিধান অনুযায়ী, কোনও লোকসভা আসন শূন্য হওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যে উপনির্বাচন সম্পন্ন করার নিয়ম। তবে নুরুল ইসলামের মৃত্যুর পর এতদিন পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন কোনও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি। তাই গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় অবিলম্বে উপনির্বাচন করার জন্য আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করেছেন গৌতম রায়।
আদালতের প্রতিক্রিয়া
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলার শুনানি হয়। তবে মামলার শুনানির পরবর্তী দিন এখনও নির্ধারিত হয়নি।
গৌতম রায়ের বক্তব্য, ‘‘বসিরহাটের জনগণ সাংসদবিহীন অবস্থায় রয়েছেন, যা গণতান্ত্রিক অধিকার লঙ্ঘন করছে। অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে উপনির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হোক।’’
নির্বাচন কমিশনের অবস্থান
এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে হাইকোর্টের নির্দেশের পর কমিশনের অবস্থান স্পষ্ট হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পরিস্থিতির উপর নজর
বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন নিয়ে হাইকোর্ট কী সিদ্ধান্ত নেয় এবং নির্বাচন কমিশন কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তার উপর নির্ভর করছে এলাকাবাসীর গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়টি।