Homeখবররাজ্য‘দিল্লির চাপে’ ধর্না মঞ্চ খুলেছে সেনা, মেয়ো রোডে বিজেপিকে নিশানা মমতার, রাজ্যজুড়ে...

‘দিল্লির চাপে’ ধর্না মঞ্চ খুলেছে সেনা, মেয়ো রোডে বিজেপিকে নিশানা মমতার, রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক

প্রকাশিত

ভাষা সন্ত্রাসের ইস্যুতে রাজ্যজুড়ে উত্তেজনার আবহের মধ্যেই নতুন বিতর্ক। সোমবার দুপুরে হঠাৎই মেয়ো রোডে পৌঁছে যায় সেনাবাহিনী এবং খুলে ফেলা হয় তৃণমূলের তৈরি করা ‘ভাষা আন্দোলন’ মঞ্চ। ঘটনার খবর পেতেই সেখানে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

সরাসরি কেন্দ্রকে আক্রমণ শানিয়ে মমতা বলেন, “এটা সেনার সিদ্ধান্ত নয়, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের চাপে এই কাজ করা হয়েছে। কেন্দ্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সেনাকে ব্যবহার করছে। বাংলার প্রতিবাদের আওয়াজ থামাতে চাইছে।”

তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, “আমাদের কিছু জানানো হলো না কেন? যদি আপত্তিজনক কিছু থাকত, আমরা নিজেরাই মঞ্চ সরাতাম। কিন্তু গোপনে কেন্দ্র এই কাজ করাল কেন?”

ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মমতা ঘোষণা করেন, মঙ্গলবার রাজ্যের প্রতি জেলা, ব্লক ও ওয়ার্ড স্তরে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হবেন। পাশাপাশি ‘ভাষা আন্দোলন’-এর মঞ্চ এখন থেকে মেয়ো রোড নয়, বরং রানি রাসমণি রোডে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে সেখানেই চলবে তৃণমূলের অবস্থান কর্মসূচি।

প্রসঙ্গত, ভিনরাজ্যে বাংলায় কথা বলায় পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশি সন্দেহে হেনস্থা করার অভিযোগে ইতিমধ্যেই তৃণমূল আন্দোলনে সরব হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, বোলপুর-সহ একাধিক জেলায় মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এরই মধ্যে রাজ্য সরকার চালু করেছে ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্প, যার আওতায় বাংলায় ফেরা শ্রমিকদের এক বছর ধরে মাসিক ৫,০০০ টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে।

রাজনৈতিক মহলের মতে, মেয়ো রোডের এই ঘটনাকে সামনে রেখে মমতা এখন সরাসরি কেন্দ্রকে নিশানা করছেন। তৃণমূলের আগামী আন্দোলনে এই ইস্যুই হয়ে উঠতে পারে মূল হাতিয়ার।

আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে আবার পিছোল রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলার শুনানি

📰 আমাদের পাশে থাকুন

নিরপেক্ষ ও সাহসী সাংবাদিকতা টিকিয়ে রাখতে খবর অনলাইন আপনার সহায়তা প্রয়োজন। আপনার ছোট্ট অনুদান আমাদের সত্য প্রকাশের পথে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।

💠 সহায়তা করুন / Support Us

আপনার প্রশ্ন, আমাদের উত্তর

সাম্প্রতিকতম

বাংলা-সহ ১২ রাজ্যে ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে এসআইআর, ভোটার তালিকা সংশোধন শুরু ৪ নভেম্বর থেকে

দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় দফার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (SIR)। বাংলায় এনুমেরেশন ফর্ম বিতরণ শুরু হবে ৪ নভেম্বর থেকে, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।

১০০ দিনের কাজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খেল কেন্দ্র, বহাল হাই কোর্টের নির্দেশ

১০০ দিনের কাজ বন্ধ রাখায় কেন্দ্রকে তীব্র ধাক্কা। সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখল। ফলে চার বছর পর রাজ্যে ফের শুরু হবে ১০০ দিনের কাজ, মজুরি মঞ্জুর করতে হবে কেন্দ্রকে।

এসআইআরের আগে রাজ্যে বড়সড় প্রশাসনিক রদবদল, বদলি ১০ জেলাশাসক-সহ ১৭ আমলা

এসআইআর শুরুর আগেই রাজ্যে প্রশাসনিক রদবদল। বদলি ১০ জেলাশাসক ও একাধিক এডিএম। নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংবেদনশীল জেলাগুলিতে বিশেষ নজর। বিধানসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা।

বুথভিত্তিক তুলনায় মিল মাত্র ৫৫%! এসআইআরে নাম কাটা যেতে পারে প্রায় ১ কোটি ভোটারের

২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে বর্তমান তালিকার মিল মাত্র ৫৫ শতাংশ। এসআইআরের পর প্রায় ১ কোটি ভোটারের নাম বাদ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা নির্বাচন কমিশনের। জল্পনা ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

আরও পড়ুন

এসআইআরের আগে রাজ্যে বড়সড় প্রশাসনিক রদবদল, বদলি ১০ জেলাশাসক-সহ ১৭ আমলা

এসআইআর শুরুর আগেই রাজ্যে প্রশাসনিক রদবদল। বদলি ১০ জেলাশাসক ও একাধিক এডিএম। নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সংবেদনশীল জেলাগুলিতে বিশেষ নজর। বিধানসভা ভোটের আগে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা।

বুথভিত্তিক তুলনায় মিল মাত্র ৫৫%! এসআইআরে নাম কাটা যেতে পারে প্রায় ১ কোটি ভোটারের

২০০২ সালের ভোটার তালিকার সঙ্গে বর্তমান তালিকার মিল মাত্র ৫৫ শতাংশ। এসআইআরের পর প্রায় ১ কোটি ভোটারের নাম বাদ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা নির্বাচন কমিশনের। জল্পনা ছড়িয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

সোনালী সহ ৬ জনকে বাংলাদেশে থেকে ফেরানো নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে সুনালি খাতুন ও আরও পাঁচজনকে বাংলাদেশ থেকে ফেরানোর নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে কেন্দ্র। গর্ভবতী সুনালি ও দুই শিশুসন্তানসহ পরিবারের দুরবস্থা নিয়ে আলোড়ন।