ভাষা সন্ত্রাসের ইস্যুতে রাজ্যজুড়ে উত্তেজনার আবহের মধ্যেই নতুন বিতর্ক। সোমবার দুপুরে হঠাৎই মেয়ো রোডে পৌঁছে যায় সেনাবাহিনী এবং খুলে ফেলা হয় তৃণমূলের তৈরি করা ‘ভাষা আন্দোলন’ মঞ্চ। ঘটনার খবর পেতেই সেখানে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সরাসরি কেন্দ্রকে আক্রমণ শানিয়ে মমতা বলেন, “এটা সেনার সিদ্ধান্ত নয়, বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের চাপে এই কাজ করা হয়েছে। কেন্দ্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সেনাকে ব্যবহার করছে। বাংলার প্রতিবাদের আওয়াজ থামাতে চাইছে।”
তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, “আমাদের কিছু জানানো হলো না কেন? যদি আপত্তিজনক কিছু থাকত, আমরা নিজেরাই মঞ্চ সরাতাম। কিন্তু গোপনে কেন্দ্র এই কাজ করাল কেন?”
ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মমতা ঘোষণা করেন, মঙ্গলবার রাজ্যের প্রতি জেলা, ব্লক ও ওয়ার্ড স্তরে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হবেন। পাশাপাশি ‘ভাষা আন্দোলন’-এর মঞ্চ এখন থেকে মেয়ো রোড নয়, বরং রানি রাসমণি রোডে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে সেখানেই চলবে তৃণমূলের অবস্থান কর্মসূচি।
প্রসঙ্গত, ভিনরাজ্যে বাংলায় কথা বলায় পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশি সন্দেহে হেনস্থা করার অভিযোগে ইতিমধ্যেই তৃণমূল আন্দোলনে সরব হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও কলকাতা, ঝাড়গ্রাম, বোলপুর-সহ একাধিক জেলায় মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এরই মধ্যে রাজ্য সরকার চালু করেছে ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্প, যার আওতায় বাংলায় ফেরা শ্রমিকদের এক বছর ধরে মাসিক ৫,০০০ টাকা অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, মেয়ো রোডের এই ঘটনাকে সামনে রেখে মমতা এখন সরাসরি কেন্দ্রকে নিশানা করছেন। তৃণমূলের আগামী আন্দোলনে এই ইস্যুই হয়ে উঠতে পারে মূল হাতিয়ার।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্টে আবার পিছোল রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ মামলার শুনানি