নিজস্ব প্রতিনিধি: গত ৬ সেপ্টেম্বর প্যারীমোহন লাইব্রেরির মঞ্চে হয়ে গেল ‘বালার্ক’ নিমতা প্রযোজিত নাটক ‘বল্লভপুরের উপকথা’ নাটকটি। এ দিন শিক্ষক দিবস উপলক্ষে একটি বিশেষ নাট্যসন্ধ্যার আয়োজন করেছিল বালার্ক। নাটকের উপস্থাপনার পাশাপাশি বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হয় এলাকার প্রবীণ শিক্ষিকা কাকলি বসু মহাশয়াকে।
এক ঘন্টা কুড়ি মিনিট দৈর্ঘ্যের নাটক ‘বল্লভপুরের উপকথা’ রচনা করেছেন বসন্ত পাথ্রডকর। প্রচেত গুপ্তের একটি গল্প থেকে কাহিনিসূত্র ধার করেছেন বলে তিনি জানালেন। এই নাটকটি তিনিই নির্দেশনা দিয়েছেন। নাটকের একদম শুরুতেই ঘোষণার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়, বাদল সরকার লিখিত অতি বিখ্যাত নাটক ‘বল্লভপুরের রূপকথা’-র সঙ্গে এই নাটকের নামের নৈকট্য থাকলেও, সেই নাটকের সঙ্গে এই নাটকের কোনো মিল নেই।

নাটকে বল্লভপুর নামে কোনো এক কাল্পনিক গ্রামের কথা রয়েছে। রয়েছে সেই গ্রামের সহজ সরল মেয়ে আরতির কথা এবং তার স্বামী কলকাতা নিবাসী দুশ্চরিত্র-লম্পট কার্তিকের কথা। কার্তিক মিথ্যে কথার জালে ফাঁসিয়ে গ্রামের মেয়ে আরতিকে বিয়ে করে নিয়ে যায় কলকাতায়। শ্বশুরের মৃত্যুর পর সম্পত্তির লোভে বল্লভপুরে এসে দালালির পেশায় যুক্ত হয়ে পড়ে। এর পর একসময় টাকার জন্য সে বেচে দেয় নিজের স্ত্রী আরতিকেই, আর রেপ হয়ে খুন হয়ে যায় আরতি।
আরতির মৃত্যুর পরেই ঘটনা অন্য দিকে বাঁক নেয়। একেবারে আচমকা কিছু অভূতপূর্ব পরিস্থিতি নাটকে তৈরি হয় আর এখানেই নাটকটি হয়ে ওঠে উপভোগ্য। সম-সময়ের কথা বিভিন্ন সময়ে নাটকের সংলাপে ফুটে উঠেছে।

চরিত্রাভিনেতারাও নিজেদের ভূমিকা পালনে যথেষ্ট দক্ষতার ছাপ রেখেছেন। বিশেষত আরতির ভূমিকায় পূজা কুণ্ডু, অফিসারের ভূমিকায় সন্দীপ মুখার্জি, গৌতম গোলদারের ভূমিকায় সব্যসাচী বসু, আরতির বাবার ভূমিকায় নির্মল সরদার আর মগনলালের ভূমিকায় সত্যম পাণ্ডে ভালো অভিনয় করেছেন। তবে আলোক পরিকল্পনা আর মঞ্চ নিয়ে আরও ভাবনার অবকাশ রয়েছে।
আরও পড়ুন:
শান্তিনিকেতনের কাছে ফুলডাঙার ‘সারদা পাঠশালা’র উদ্যোগে শামিল বালার্ক থিয়েটার