নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ফের রক্তক্ষয়ী অশান্তি। দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলন ও সরকারের সোশ্যাল মিডিয়া নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন তরুণ প্রজন্ম, বিশেষত জেন জেড বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে অন্তত ছজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনা মোতায়েন করেছে প্রশাসন, পাশাপাশি জারি করা হয়েছে কারফিউ।
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, আন্দোলনকারীরা সীমিত প্রবেশাধিকারযুক্ত এলাকায় ঢুকে পড়েন এবং ফেডারেল পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন। এর পরেই সেনা নামানো ও কারফিউ জারি করার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন।
২৪ বছর বয়সি ছাত্র ইউজন রাজভাণ্ডারি বলেন, “আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছি, যেটা নেপালে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়েছে।” অপর এক বিক্ষোভকারী, ২০ বছরের ইক্ষামা তুমরোক অভিযোগ করেন, “সরকার কর্তৃত্ববাদী মনোভাব দেখাচ্ছে। আমরা পরিবর্তন চাই। আমাদের প্রজন্মের সঙ্গে এই অন্যায় শেষ হওয়া উচিত।”
গত মাসে মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, আন্তর্জাতিক সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে নেপালে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এবং সেখানে যোগাযোগ ও অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য অফিসার নিয়োগ করতে হবে। এর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। বিশেষ করে টিকটকে ভাইরাল হয়েছে ভিডিও, যেখানে সাধারণ নেপালিদের সংগ্রামের সঙ্গে রাজনীতিবিদদের সন্তানদের বিলাসবহুল জীবনযাপন ও বিদেশ ভ্রমণের তুলনা টানা হয়েছে।
বিক্ষোভকারী ভূমিকা ভারতী জানান, “বিদেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে। সরকার ভয় পাচ্ছে, নেপালেও তেমন কিছু হতে পারে।”
কাঠমান্ডুর রাস্তায় সেনা টহল চলছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যান ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জেন জেডদের এই প্রতিবাদ এখন আরও বিস্তৃত আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গোয়ালন্দে মৃত ধর্মগুরুর দেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দিল মৌলবাদীরা, দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড়