কলকাতা: আশ্বিনের শারদপ্রাতে ঘুম ভেঙে গিয়েছিল আকাশবাণীতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের স্তোত্রপাঠে – যা দেবী সর্বভুতেষু…। কাল সোমবারই তো দেবীপক্ষের সূচনা। মা দুর্গার আবাহনে প্রস্তুত বাঙালি। তার আগে আজ রবিবার, পিতৃপক্ষের শেষ দিন। পিতৃপুরুষদের তর্পণ করার দিন। ভোর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে তর্পণ। গঙ্গার ঘাটে ঘাটে চলছে তর্পণ।
মহালয়ার পবিত্র দিনে পিতৃপুরুষদের স্মরণ করা হয়। ১৫ দিনের পিতৃপক্ষের শেষলগ্নে আসে ‘মহালয়া’। সনাতন ধর্মমতে, এই সময়ে পিতৃলোক থেকে পূর্বপুরুষরা মর্ত্যলোকে এসে বসবাস করেন নিজের পরিজনদের সঙ্গে। এর পর তাঁরা আবার পিতৃলোকে ফিরে যান। এই সময়ে প্রয়াত পরিজনদের আত্মার যে সমাবেশ ঘটে তাকে বলা হয় ‘মহান লয়’। সেই শব্দ থেকেই এসেছে ‘মহালয়া’ শব্দটি।
চিরাচরিত ভাবেই এ দিন ভোর থেকে গঙ্গার ঘাটে ঘাটে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। চলছে পিতৃপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ। কলকাতার সব ক’টা ঘাটে সেই চেনা ভিড়। তর্পণ ঘিরে কড়া সতর্ক কলকাতা পুলিশ।
গঙ্গা লাগোয়া রাস্তায় পণ্যবাহী যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল। প্রত্যেক ঘাটে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দল রয়েছে। গঙ্গার প্রত্যেক ঘাটেই চলছে রিভার ট্রাফিকের স্পিড বোট, জেট স্কি-র টহল।
গঙ্গার বিপজ্জনক অংশ ভাসমান বল দিয়ে মার্কিং করা হয়েছে। তর্পণের সময়ে যাতে কেউ সেই ঘেরাটোপ পার না করে, তার জন্য বিশেষ নজরদারি চলছে।
মহালয়ার সঙ্গে দুর্গাপুজোর কোনো সম্পর্ক না থাকলেও আজকের দিনটাকেই শারদোৎসবের সূচনা হিসেবে পালন করে বাঙালি। কারণ সোমবার প্রতিপদ পড়লেই যে শুরু হয়ে যাবে দেবীপক্ষ।
আরও পড়ুন
হেরিটেজ স্বীকৃতির পথে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো, গবেষণায় নতুন আশা