অক্টোবর মাসে ভারতের জিএসটি (পণ্য ও পরিষেবা কর) সংগ্রহ মোট ১.৮৭ লক্ষ কোটি টাকা, যা বার্ষিক ভিত্তিতে ৮.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার প্রকাশিত অর্থমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে এই সংগ্রহ ছিল ১.৭২ লক্ষ কোটি টাকা। চলতি মাসে কেন্দ্রীয় (CGST), রাজ্য (SGST), একত্রিত (IGST) এবং উপকরের (Cess) ক্ষেত্রে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা গেছে।
২০২৪ সালে এখনও পর্যন্ত মোট জিএসটি সংগ্রহ ১২.৭৪ লক্ষ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯.৪ শতাংশ বেশি। এপ্রিল মাসে এই সংগ্রহ সর্বোচ্চ ২.১০ লক্ষ কোটি টাকা রেকর্ড করা হয়েছিল। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট জিএসটি সংগ্রহ ছিল ২০.১৮ লক্ষ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় ১১.৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, এই অর্থবছরে প্রতি মাসের গড় সংগ্রহ ১.৬৮ লক্ষ কোটি টাকা, যা আগের বছরের গড় ১.৫ লক্ষ কোটি টাকার চেয়ে অনেক বেশি। সাম্প্রতিক জিএসটি সংগ্রহের এই বৃদ্ধি ভারতের অর্থনীতির ইতিবাচক প্রবণতা নির্দেশ করে, যা শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ খরচ এবং আমদানির উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই বৃদ্ধি দেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টার সহায়ক এবং আন্তর্জাতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও স্থিতিশীলতার প্রতীক।
বলে রাখা ভালো, জিএসটি চালু হয়েছিল ২০১৭ সালের ১ জুলাই। সেসময়ই রাজ্যগুলোকে আশ্বস্ত করা হয়েছিল যে, পাঁচ বছরের জন্য রাজস্ব হ্রাসের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
চুলের তেল, টুথপেস্ট, সাবান, ডিটারজেন্ট ও ওয়াশিং পাউডার, চাল, গম, দই, ঘোল, ঘড়ি, ৩২ ইঞ্চি পর্যন্ত টিভি, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন এবং মোবাইল ফোনের উপর জিএসটি কর কমানো হয়েছে বা শূন্য রাখা হয়েছে, যা দেশের জনগণের জন্য স্বস্তিদায়ক। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং সমস্ত রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা জিএসটি কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে রয়েছেন। কোনো পণ্যের জিএসটি হারে এই পরিবর্তনগুলি বাস্তবায়নে ওই কাউন্সিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।