ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (RBI) সুদের হার কমানো উচিত বলে মন্তব্য করলেন বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। বৃহস্পতিবার CNBC-TV18 গ্লোবাল লিডারশিপ সামিটে বক্তৃতা করার সময় গয়াল বলেন, “রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সুদের হার কমানো উচিত। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি বিবেচনা করে সুদের হার নির্ধারণের তত্ত্বটি ভুল। এটা আমার ব্যক্তিগত মত, সরকারের নয়।”
গয়াল আরও বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি কমে আসবে বলে তাঁর ধারণা। এ দিকে, গত মাসে ভারতের খুচরো মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১৪ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬.২ শতাংশে পৌঁছেছে, যা অর্থনীতির মন্দার ইঙ্গিত দেওয়ায় সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা আরও পিছিয়ে দিয়েছে। অক্টোবর মাসে মূলত সবজি, ফল এবং ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি মুদ্রাস্ফীতির প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি কমিটির (MPC) নির্ধারিত মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্য সীমা ৪ শতাংশ, যেখানে ২ শতাংশের সহনশীলতা রয়েছে। গত বছর আগস্টের পর প্রথম বারের মতো এই সীমা অতিক্রম করেছে মূল্যস্ফীতি।
আইসিআরএ (ICRA)-র প্রধান অর্থনীতিবিদ অদিতি নায়ার সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেন, “অক্টোবরে মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশের সীমা অতিক্রম করেছে এবং চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে এমপিসি-র অনুমানের চেয়ে আরও ৬০-৭০ বেসিস পয়েন্ট বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে ডিসেম্বরে সুদের হার কমানো প্রায় অসম্ভব।”
অন্যদিকে, রেটিং সংস্থা ক্রিসিল (Crisil) মনে করে, এই অর্থবছরের শেষের দিকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি কমিটি সুদের হার কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
উল্লেখ্য, আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাস সম্প্রতি বলেছিলেন, অক্টোবরের মুদ্রাস্ফীতির হার সেপ্টেম্বরের চেয়ে বেশি হতে পারে। সেক্ষেত্রে ৪ শতাংশ লক্ষ্যসীমার কাছাকাছি না পৌঁছানো পর্যন্ত সুদের হার কমানো হবে না।
অক্টোবর ২০২৩-এ গ্রাহক মূল্য সূচক অনুযায়ী মুদ্রাস্ফীতি ৪.৯ শতাংশ ছিল, যা গ্রামাঞ্চলে ৬.৭ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ছিল ৫.৬ শতাংশ।