আন্তর্জাতিক বাণিজ্য যুদ্ধের সম্ভাবনা, বৈদেশিক মূলধন বহিঃপ্রবাহ ও দুর্বল অর্থনৈতিক সূচকের চাপে ভারতের শেয়ারবাজার মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) মিশ্র ভাবে বন্ধ হয়েছে।
সেনসেক্স টানা পাঁচ দিনের পতন থামিয়ে ১৪৮ পয়েন্ট বা ০.২০ শতাংশ বেড়ে ৭৪,৬০২.১২ পয়েন্টে বন্ধ হয়। তবে নিফটি ৫০ টানা ষষ্ঠ দিনের মতো ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে ২২,৫৪৭.৫৫ পয়েন্টে নেমে আসে, যা আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বা ০.০৩ শতাংশ কম।
মাঝারি ও ছোট শেয়ার ক্ষতিগ্রস্ত
বাজারের বৃহত্তর সূচকগুলো তুলনামূলক দুর্বল পারফরম্যান্স করেছে। বিএসই মিডক্যাপ ০.৫৭ শতাংশ এবং স্মলক্যাপ ০.৪৫ শতাংশ কমে বন্ধ হয়।
প্রভাবশালী স্টক পারফরম্যান্স
নিফটি ৫০-তে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ, টিসিএস এবং এলঅ্যান্ডটি ছিল বাজার পতনের মূল চালক। বিশ্ববাজারের দুর্বল প্রবণতা, রুপির অবমূল্যায়ন এবং প্রবৃদ্ধি কমার আশঙ্কাই বাজার সংশোধনের প্রধান কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।
নিফটি ৫০-তে শীর্ষ লাভকারী শেয়ারগুলোর মধ্যে ছিল ভারতী এয়ারটেল (২.৩২ শতাংশ বৃদ্ধি), মহিন্দ্রা অ্যান্ড মহিন্দ্রা (২.১৩ শতাংশ বৃদ্ধি) এবং বাজাজ ফিনান্স (১.৪০ শতাংশ বৃদ্ধি)। অন্যদিকে, ডক্টর রেড্ডিস ল্যাবস (৩.১০ শতাংশ হ্রাস), হিন্দালকো (৩.০১ শতাংশ হ্রাস) এবং ট্রেন্ট (২.৪১ শতাংশ হ্রাস) ছিল প্রধান ক্ষতিগ্রস্ত।
ক্ষতিগ্রস্ত ও লাভজনক খাত
বিভিন্ন খাতভিত্তিক সূচক মিশ্র ফলাফল দেখিয়েছে। নিফটি ব্যাংক ০.০৯ শতাংশ কমলেও নিফটি প্রাইভেট ব্যাংক সূচক ০.০২ শতাংশ বাড়ে। অন্যদিকে, নিফটি পিএসইউ ব্যাংক সূচক ১.২২ শতাংশ পতন হয়েছে।
নিফটি মেটাল (১.৫৪ শতাংশ হ্রাস) খাতভিত্তিক সূচকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া নিফটি রিয়েলটি (১.৩১ শতাংশ হ্রাস) এবং তেল ও গ্যাস খাত (১.১৩ শতাংশ হ্রাস) বড় ধাক্কা খেয়েছে।
অপরদিকে, নিফটি মিডিয়া (০.৮৪ শতাংশ বৃদ্ধি), নিফটি অটো (০.৫১ শতাংশ বৃদ্ধি) এবং নিফটি এফএমসিজি (০.৩২ শতাংশ বৃদ্ধি) সূচক ইতিবাচক অবস্থানে বন্ধ হয়েছে।
বাজার মূলধনের পতন
বিএসই তালিকাভুক্ত কোম্পানির মোট বাজার মূলধন আগের দিনের ৩৯৮ লাখ কোটি টাকা থেকে কমে ৩৯৬ লাখ কোটিতে নেমে এসেছে। একদিনে বিনিয়োগকারীদের প্রায় ২ লাখ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।