দেশীয় শেয়ার বাজারে টানা পতন, সেনসেক্স-নিফটি ক্রমশ নিম্নমুখী
দেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক পরিসংখ্যান এবং বিশ্ব বাজারের ইতিবাচক প্রবণতা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার দেশীয় শেয়ার বাজার নিম্নমুখী ছিল। সেনসেক্স ও নিফটি দুটিই লাল সংকেতে বন্ধ হয়। শুক্রবার হোলি উপলক্ষে বন্ধ ছিল স্টক মার্কেটে কেনাবেচা। শনি ও রবিবার কাটিয়ে সোমবার খুলবে শেয়ার বাজার। কেমন যাবে ওই দিন?
ফেব্রুয়ারিতে ভোক্তা মূল্যসূচক (CPI) ভিত্তিক খুচরা মুদ্রাস্ফীতি কমে সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩.৬১ শতাংশে নামলেও বাজার এই ইতিবাচক খবরের সুবিধা নিতে পারেনি। ৩০টি শেয়ারের বিএসই সেনসেক্স ২০০.৮৫ পয়েন্ট কমে ৭৩,৮২৮.৯১-এ বন্ধ হয়, আর এনএসই নিফটি ৭৩.৩০ পয়েন্ট কমে ২২,৩৯৭.২০-তে থিতু হয়।
বৃহস্পতিবারের লেনদেন চলাকালীন বাজারে উচ্চমাত্রার অস্থিরতা লক্ষ্য করা যায়। ক্যাপিটাল গুডস, পাওয়ার ও স্বাস্থ্য খাতে ইতিবাচক প্রবণতা থাকলেও, তেল ও গ্যাস, আর্থিক পরিষেবা, গাড়ি এবং আইটি খাতে দুর্বলতা দেখা গেছে।
গত সপ্তাহে বাজার তুলনামূলকভাবে সীমিত ওঠানামার মধ্যে ছিল। বাজার এখন অনিশ্চিত গতিবিধি দেখাচ্ছে। নীচের দিকে, সেনসেক্স ৭৩,৩০০ এবং নিফটি ২২,৩০০ স্তরে সাপোর্ট পাচ্ছে, তবে ৭৪,৭০০-৭৪,৯০০ স্তরের কাছে লাভ তুলে নেওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে জানাচ্ছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্লেষকদের মতে, ৭৪,৪০০-এর ওপরে গেলে বাজার প্রবল ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে, যা বুলিশ প্রবণতার ইঙ্গিত দেবে। তখন বাজার ৭৫,৫০০-৭৫,৮০০ স্তরে পৌঁছাতে পারে। অন্যদিকে, ৭৩,৬০০-এর নীচে নামলে দুর্বলতা বাড়তে পারে এবং সূচক ৭৩,৩০০ পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে বিক্রির চাপ বেড়ে যেতে পারে এবং বাজার ৭২,৭০০-৭২,৪০০ স্তরে নেমে আসতে পারে। বিনিয়োগকারীদের উচিত নিশ্চিত সংকেত না পাওয়া পর্যন্ত সাবধান থাকা।