আশ্বিনের শারদপ্রাতে আলোকমঞ্জির বেজে উঠেছে। আর হাতেগোনা মাত্র কয়েকটা দিন। আসছে মহালয়া। পিতৃপক্ষের সমাপ্তির পর সূচনা হবে দেবীপক্ষের। এবারের পুজোয় চিত্তাকর্ষক মনবাহারি থিমে মন জয় করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন কেষ্টপুর প্রফুল্ল কানন (পশ্চিম) অধিবাসীবৃন্দ। এবছর শিল্পী কৃশানু পালের ভাবনায় ফুটে উঠবে মানুষ ও প্রকৃতির পারস্পরিক সম্পর্কের বিন্যাস। বাস্তবে কীভাবে প্রকৃতির অসীম শক্তি আর মানুষের প্রখর বুদ্ধি বিন্যস্ত হয়েছে তাই তুলে ধরা হবে পুজো মণ্ডপে।
এ বছর ২৩তম বছরে কেষ্টপুর প্রফুল্ল কানন (পশ্চিম) অধিবাসীবৃন্দর পুজোয় থিম হল ‘বিন্যাস’। সামগ্রিক পরিকল্পনা ও রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছেন শিল্পী কৃশানু পাল। আলোর দায়িত্বে রয়েছেন আশিস সাহা। আবহ সঙ্গীত করছেন আশু চক্রবর্তী।

পুজো কমিটির কর্তা কার্তিক রায় জানান, প্রকৃতি হল এক অসীম শক্তির আধার। মানুষ প্রকৃতির তৈরি শ্রেষ্ঠ জীব। মানুষ ও প্রকৃতি একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। প্রকৃতির তৈরি জূব মানুষ। আবার মৃত্যুর পরে মানুষ পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে প্রকৃতিতে মিশে যায়। মানুষ বেঁচে থাকার রসদ পায় প্রকৃতি থেকেই। সেই কোন আদিম যুগ থেকে মানুষ প্রকৃতির পুজো করে এসেছে। পৃথিবীর অপরূপ রূপ মানুষ তৈরি করেছে প্রকৃতিকে ব্যবহার করেই।

মানুষ প্রকৃতিকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়েছে। কিন্তু মাঝেমধ্যে প্রকৃতির অসীম শক্তি আর মানুষের প্রখর বুদ্ধির মধ্যে তীব্র লড়াই তৈরি হয়। নগরায়ন ও শিল্পায়নের মাত্রাতিরিক্ত প্রভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ সৃষ্টি হচ্ছে। বাস্তুতন্ত্রর ভারসাম্য নষ্ট করছে। প্রকৃতি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তার প্রভাব মানুষের ওপরও পড়ছে। কখনো প্রকৃতিকে অগ্রাহ্য করে সভ্যতা বিস্তৃত হয়েছে আবার কখনো প্রকৃতির ধাক্কায় বেসামাল হয়েছে নগরায়ন। প্রকৃতি আর মানুষের মধ্যে এই ভাঙাগড়ার সম্পর্ক চক্রাকারে আবর্তিত হচ্ছে যুগ যুগ ধরে। কালচক্রে বিন্যস্ত হয়েছে মানুষ ও প্রকৃতির পারস্পরিক সম্পর্ক। সংসারে প্রেম ও ঝগড়ার মতোই যা যুগ যুগ ধরে এগিয়ে চলেছে।’
দুর্গাপুজোর সব খবর পড়ুন এখানে