Home শিক্ষা ও কেরিয়ার এ বার প্রাথমিক শিক্ষায় সেমিস্টার পদ্ধতির ঘোষণা, প্রতি ক্লাসে দু’বার পরীক্ষা

এ বার প্রাথমিক শিক্ষায় সেমিস্টার পদ্ধতির ঘোষণা, প্রতি ক্লাসে দু’বার পরীক্ষা

0

এ বার থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বছরে একবার নয়, দু’বার করে পরীক্ষা হবে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এই ঘোষণা করল শুক্রবার। ২০২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই নতুন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে। এই পরিবর্তনটি সর্বভারতীয় স্তরে প্রতিযোগিতার জন্য ছোট থেকে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল।

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে গৌতম পাল জানান, ২০২৫ থেকে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সেমিস্টার পদ্ধতিতে পরীক্ষায় বসবে। প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা জুন মাসে হবে, এবং প্রতি ক্লাসেই দু’বার পরীক্ষা নেওয়া হবে—একটি জানুয়ারি থেকে জুন, আর দ্বিতীয়টি জুলাই থেকে ডিসেম্বর। এছাড়া, প্রশ্নপত্র প্রস্তুতির দায়িত্ব আর স্কুলের হাতে থাকবে না, পর্ষদই রাজ্যজুড়ে একক প্রশ্নপত্র তৈরি করবে। তবে খাতা দেখবেন সংশ্লিষ্ট স্কুলের শিক্ষকরা।

এছাড়া, পাঠ্যক্রম কাঠামোরও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। পুরো শিক্ষাবর্ষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে, জানুয়ারি থেকে জুন এবং জুলাই থেকে ডিসেম্বর। এই নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন গৌতম পাল।

এটি জাতীয় শিক্ষা নীতির ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে এবং এনসিইআরটি দ্বারা একটি নতুন কারিকুলাম ফ্রেমওয়ার্ক গৃহীত হয়েছে। ২০০৯ সালের রাইট টু এডুকেশন আইন অনুসারে, পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ‘নো ডিটেনশন’ পলিসি চালু থাকবে। প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে ক্রেডিট ফ্রেমওয়ার্কে পরিবর্তন আসবে না। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য ৮০০ ঘণ্টা এবং তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির জন্য ১০০০ ঘণ্টা ক্লাস নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেছেন, “সরকারের সাহায্যে আমরা এ ধরনের সাহসী পদক্ষেপ নিতে পেরেছি। ছোট বয়স থেকেই এ ধরনের মূল্যায়ন পদ্ধতির মধ্যে গেলে ভবিষ্যতে কোনও অসুবিধা হবে না।” ডেপুটি সেক্রেটারি পার্থ কর্মকার বলেন, “আমরা চাই বুনিয়াদি শিক্ষা আরও শক্তিশালী হোক। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শিগগিরই শুরু হবে।”

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version