কলকাতা: একাধিক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতির আবেদন করতে হলে আর সেই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে লগ ইন করতে হবে না। এখন থেকে একটা অভিন্ন ওয়েবসাইটে গিয়ে লগ ইন করলেই চলবে। পশ্চিমবঙ্গের কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক কোর্সে ভরতি হওয়ার জন্য ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ থেকেই ভরতির এই পদ্ধতি চালু হচ্ছে।
দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইন জানিয়েছে, আগামী শিক্ষাবর্ষে স্নাতক কোর্সে ভরতি শুরু হতে এখনও বেশ কয়েক মাস বাকি। কিন্তু রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতর ইতিমধ্যেই সেন্ট্রালাইজড অনলাইন ভরতি প্রক্রিয়া নিয়ে নির্দেশিকা জারি করে দিয়েছে।
সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীভূত অনলাইন ভরতি প্রক্রিয়া চালু করার বিষয়টি গত মে মাসে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু উচ্চশিক্ষা দফতর তা কার্যকর করার বিষয়টি স্থগিত করে দেয়।
এই পদ্ধতি চালু হলে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভরতি প্রক্রিয়ায় ছাত্র ইউনিয়নের নাক গলানোর বিষয়টি রোখা যাবে বলে শিক্ষামহল মনে করে।
মঙ্গলবার উচ্চশিক্ষা দফতরের এক ডেপুটি সেক্রেটারির সই করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “স্বশাসিত কলেজ, সংখ্যালঘু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান/কলেজ, ট্রেনিং কলেজ, ল’ কলেজ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের বাকি সব সরকারি কলেজ, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজ, একক বিশ্ববিদ্যালয় এবং সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক স্তরের জেনারেল ডিগ্রি কোর্সে ভরতির জন্য ওয়েবেল টেকনোলজি লিমিটেডের তৈরি করা সেন্ট্রালাইজড ওয়েব-বেসড্ অনলাইন অ্যাডমিশন পোর্টাল ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর।”
উচ্চশিক্ষা দফতরের এই নির্দেশিকায় একক বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলা হলেও দফতরের অন্য সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো যে সব বিশ্ববিদ্যালয় ভরতি পরীক্ষার ব্যবস্থা করে তাদের এর আওতা থেকে বাদ রাখা হবে। এ সব বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজেদের ভরতি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
যে সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাইন আর্টস, পারফর্মিং আর্টস, ক্র্যাফট্স, নৃত্য, সংগীত, ইনজিনিয়ারিং, ফার্মেসি, নার্সিং এবং মেডিক্যাল কোর্স পড়ানো হয়, তাদের ক্ষেত্রে ভরতির এই নির্দেশিকা কার্যকর হবে না। যে সব কলেজ নিজেদের প্রয়োজনীয় টাকা নিজেরাই জোগাড় করে তাদের এর আওতায় রাখা হয়নি।
এই কেন্দ্রীভূত অনলাইন ভরতি ব্যবস্থা সফল ভাবে কার্যকর করার জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য উচ্চশিক্ষা পর্ষদের তরফে ১০ সদস্যের এক কমিটি গড়া হয়েছে। দফতরের এক উচ্চপদস্থ অফিসার জানিয়েছেন, আসন্ন শিক্ষাবর্ষে ভরতির এই প্রক্রিয়া চালু করার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে।
গত বছর মে মাসে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সেন্ট্রালাইজড অনলাইন ভরতি প্রক্রিয়া চালু করার কথা জানিয়েছিলেন। তার ঠিক এক মাস পরে ২৯ জুন তিনি জানান, নতুন প্রক্রিয়া বোঝার জন্য কিছু সময় দরকার বলে কয়েক জন উপাচার্য জানানোয় কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্ট্রালাইজড অনলাইন ভরতি প্রক্রিয়া চালু হচ্ছে না।
“তাই আমরা এ বছর খুব সাবধানে এগোচ্ছি”, দফতরের আর-এক অফিসার মঙ্গলবার জানান।
আরও পড়ুন
রাত পোহালেই মাধ্যমিক, ফল প্রকাশের সম্ভাব্য সময় জানিয়ে দিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ