৮০ এর দশকের অভিনেত্রীদের মধ্যে শ্রীদেবীর পাশাপাশি জয়াপ্রদাকে নিয়েও জোর চর্চা ছিল বলিউডে। বলিউডের এই অসাধারণ সুন্দরী এবং দক্ষ অভিনেত্রী একাধারে তামিল, তেলেগু, কন্নড়, মালায়ালাম, বাংলা, মারাঠি, হিন্দি ছবিতে কাজের সূত্রে ভারতীয় সিনেমা জগতের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র হয়ে উঠেছিলেন।
অভিনয়ের পাশাপাশি তার রূপের খ্যাতি ছিল জগৎজোড়া। ১৯৭০ দশকে প্রথম বলিউডে পা রাখেন তিনি। তারপর বেশ কয়েক দশক ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে জমিয়ে কাজ করেছেন অভিনেত্রী।
স্বয়ং সত্যজিৎ রায় তার রূপের প্রশংসা করে বলেছিলেন, ‘তিনি রুপোলি পর্দার খুব সুন্দর মুখ।‘ এহেন অভিনেত্রীর কেরিয়ার যখন শীর্ষ শিখরে পৌঁছেছিল, ঠিক সেই সময়েই রাজনীতিতে প্রবেশ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ১৯৯৪ সালে তেলুগু দেশম পার্টি তথা টিডিপির হাত ধরে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ২০০৪ থেকে শুরু করে টানা ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি রামপুর কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন। ২০১৯ সালে বিজেপি দলে যোগ দেন তিনি। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের রামপুর আসন থেকে বিজেপির হয়ে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছিলেন জয়াপ্রদা।
পড়ুন: পরিচালক রোহিত শেট্টির ‘সিংঘম এগেন’ থেকে কেন সরলেন ভিকি? কী জানালেন অভিনেতা?
শ্রীকান্ত বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও জয়াপ্রদা তাকেই বিয়ে করেন। এদিকে শ্রীকান্ত তার প্রথম স্ত্রীকেও ডিভোর্স দেননি। বিয়ের পরপরই জয়া বলিউড ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। শুধু সংসারে মন দেন তিনি।
তবে তাতেও প্রতি পদে পদে বঞ্চিত হয়েছেন জয়াপ্রদা। মা হতে চেয়েছিলেন, হতে পারেননি। পরবর্তীতে বোনের ছেলেকে দত্তক নিয়ে মানুষ করেন তিনি। এদিকে প্রথম স্ত্রীর সাথে ডিভোর্স না হওয়ায় জয়াপ্রদা বরাবর শ্রীকান্তের জীবনের দ্বিতীয় নারী হিসেবেই থেকে গিয়েছেন। স্ত্রীর মর্যাদা পাননি।
ছবি- ইন্সটাগ্রাম
বিনোদনের খবরের সব আপডেট পেতে পড়ুন খবর অনলাইন