খবর অনলাইন ডেস্ক: মাতৃত্বের পর দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন বলিউড তারকা দীপিকা পাডুকোন। এই সিদ্ধান্তের জেরে তিনি ‘কল্কি ২’ এবং ‘স্পিরিট’-এর মতো বড় প্রজেক্ট থেকে সরে দাঁড়ান, যেখানে প্রভাস ছিলেন মুখ্য ভূমিকায়। অবশেষে এই বিতর্কে নিজের প্রতিক্রিয়া জানালেন অভিনেত্রী।
হার্পার্স বাজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দীপিকা জানান, মাতৃত্বের অভিজ্ঞতা তার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে। তিনি বলেন, “প্রতিটি ক্লিশে সত্যি। মায়েরা যখন বলেন ‘তুমি মা হলে বুঝবে’, সেটাও সত্যি। মা হওয়ার পর বুঝেছি নতুন মায়েদের কর্মস্থলে সমর্থন কতটা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে সেটার ওপরই কাজ করতে চাই।”
অভিনেত্রী আরও বলেন, “আমরা অতিরিক্ত কাজ করাকে স্বাভাবিক করে ফেলেছি। দায়বদ্ধতা আর নিজেকে শেষ করে দেওয়া (বার্নআউট) – দুটোকে এক করে ফেলি। মানুষের শরীর ও মনের জন্য দিনে ৮ ঘণ্টা কাজই যথেষ্ট। একজন ক্লান্ত মানুষকে কাজের চক্রে ফিরিয়ে আনলে কারও উপকারে আসে না। আমার নিজস্ব অফিসেও আমরা সোমবার থেকে শুক্রবার, দিনে আট ঘণ্টা কাজ করি। মাতৃত্ব ও পিতৃত্বকালীন নীতিও আছে। সন্তানকে কর্মস্থলে আনা স্বাভাবিক করা উচিত।”
‘কল্কি ২’ থেকে তাঁর সরে যাওয়ার পর বিভিন্ন মহলে আলোচনা শুরু হয় পারিশ্রমিক-বৈষম্য ও শিল্পে কাজের পরিবেশ নিয়ে। সিএনবিসি-টিভি১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দীপিকা জানান, “সমান পারিশ্রমিক ও কাজের শর্ত নিয়ে বহু দিন ধরেই লড়াই করছি। অধিকাংশ সময় আমি নীরবে নিজের লড়াই লড়তে পছন্দ করি। কখনও কখনও তা প্রকাশ্যে আসে, যা আমি চাই না। মর্যাদা বজায় রেখে লড়াই করাই আমার পথ।”
দীপিকার মন্তব্যে ফের আলোচনায় এসেছে বলিউডে কর্মপরিবেশ, পারিশ্রমিক-বৈষম্য এবং মাতৃত্ব-পরবর্তী সহায়তা নীতির প্রয়োজনীয়তা। অভিনেত্রীর দাবি, সুস্থ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করাই একজন শিল্পীর সেরা কাজটি পাওয়ার পূর্বশর্ত।
