খবর অনলাইন ডেস্ক: বিশিষ্ট চলচ্চিত্রপরিচালক এবং নাট্যব্যক্তিত্ব গৌতম হালদার প্রয়াত হলেন। শুক্রবার সকালে তিনি অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছোনোর আগেই পথেই তাঁর মৃত্যু হয় বলে তাঁর পরিবারের সূত্রে জানা যায়। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
ভারতীয় সিনেমাজগতের বিখ্যাত তারকা বিদ্যা বালনের চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল গৌতম হালদার পরিচালিত ‘ভালো থেকো’ ছবি দিয়ে। বিদ্যা ছাড়া এই ছবিতে অভিনয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, দেবশঙ্কর হালদার, জয় সেনগুপ্ত প্রমুখ। ছবিটি ২০০৩ সালে মুক্তি পায়। সেরা অডিয়োগ্রাফি, সেরা সিনেমাটাগ্রাফির জাতীয় পুরস্কার-সহ বিশেষ জুরি পুরস্কারও জিতে নেয় ‘ভালো থেকো’।
২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল গৌতম পরিচালিত ছবি ‘নির্বাণ’। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন রাখি গুলজ়ার। বিশিষ্ট সরোদশিল্পী উস্তাদ আমজাদ আলি খানের বিশেষ ঘনিষ্ঠ ছিলেন গৌতম। তাঁকে নিয়ে ১৯৯৯ সালে গৌতম তৈরি করেন ‘স্ট্রিংস ফর ফ্রিডম’ তথ্যচিত্রটি।
শুধু চলচ্চিত্রই নয়, নাট্যজগতের সঙ্গেও সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিলেন গৌতম হালদার। দীর্ঘ কেরিয়ারে তিনি প্রায় ৮০টি নাটকের নির্দেশক ছিলেন। সম্প্রতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘রক্তকরবী’ নাটকটি নির্দেশনা করেন তিনি। এই নাটকে নন্দিনীর চরিত্রে অভিনয় করেন চৈতি ঘোষাল। গৌতম হালদারের প্রয়াণে বাংলার চলচ্চিত্রজগত এবং বাংলার নাট্যজগতে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে।
গভীর শোকাহত বিদ্যা, চৈতি, জয়
এই পুজোতেই দেখা হয়েছিল গৌতম হালদারের সঙ্গে। কলকাতায় একটি পুজোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে। কলকাতাকে যিনি ‘দ্বিতীয় বাড়ি’ বলে মনে করেন সেই বিদ্যা বালন সব সময়েই বলেন, গৌতম হালদারের হাত ধরেই তাঁর সিনেমায় আসা। গৌতম হালদারের মৃত্যুর খবর পেয়ে খুবই ভেঙে পড়েছেন বিদ্যা। জানা গিয়েছে, তাঁর শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি কলকাতায় আসছেন।
চৈতি ঘোষাল বলেছেন, “এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না গৌতমদা নেই। উনি আমার শিক্ষক। আমি শোকস্তব্ধ। গৌতমদার তাগিদের রক্তকরবী করেছি। সামনেও একাধিক শো আছে, দিশেহারা লাগছে।”
জয় সেনগুপ্ত বলেছেন, সাংস্কৃতিক জগতের প্রত্যেকটি মানুষকে এক সুতোয় বেঁধে কাজ করিয়ে নিতে পারতেন গৌতম হালদার। ‘ভালো থেকো’য় কাজ করতে করতে গৌতমদার সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়ে গিয়েছিল। একবারও মনে হয়নি এটা ওঁর প্রথম কাজ।