Home বিনোদন ‘এটা মৃত্যুদণ্ড’ ! দিল্লি-এনসিআর থেকে সব রাস্তার কুকুরকে সরানোর সুপ্রিম নির্দেশেকে তোপ...

‘এটা মৃত্যুদণ্ড’ ! দিল্লি-এনসিআর থেকে সব রাস্তার কুকুরকে সরানোর সুপ্রিম নির্দেশেকে তোপ সেলেবদের

দিল্লি, গুরগাঁও, নয়ডা ও গাজিয়াবাদ থেকে সব রাস্তার কুকুরকে সরিয়ে শেল্টারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের বেঞ্চের স্পষ্ট বক্তব্য, এনসিটি দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কোনও অবস্থাতেই রাস্তার কুকুর থাকা যাবে না, এবং ধরা পড়া কোনও প্রাণীকে ফের রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি, এই অভিযান ব্যাহত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আদালত মামলা চালানো হবে। রাজ্য ও পুরসভাগুলিকে যথাযথ স্টাফ-সহ শেল্টার তৈরি করে কুকুরদের নির্বীজকরণ ও টিকাকরণের ব্যবস্থার নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

এই নির্দেশের পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন একাধিক সেলিব্রিটি। অভিনেত্রী জাহ্নবী কাপুরবরুণ ধাওয়ান ইনস্টাগ্রামে একটি নোট শেয়ার করে লিখেছেন, “সমস্যা আছে ঠিকই, কিন্তু পুরো একটি প্রাণী সম্প্রদায়কে খাঁচাবন্দি করা কোনও সমাধান নয়।” সেই নোটে বলা হয়, এই কুকুররা শুধু ‘স্ট্রে ডগ’ নয়— তারা চায়ের দোকানের সামনে বিস্কুটের জন্য অপেক্ষা করে, দোকানের পাহারা দেয়, বাচ্চাদের স্কুল থেকে ফেরার সময় লেজ নাড়ে, আর শীতল শহরে উষ্ণতা ছড়ায়। সমাধান হতে পারে নির্বীজকরণ, নিয়মিত টিকাকরণ, কমিউনিটি ফিডিং জোন ও দত্তক প্রচারাভিযান— শাস্তি নয়, বন্দিত্ব নয়।

গায়িকা চিন্নময়ী শ্রীপদা এক্স-এ লিখেছেন, “এটা আসলে সব কুকুরের জন্য মৃত্যুদণ্ড।” তিনি অভিযোগ করেন, ভারতে অনেকেই বিদেশি জাতের কুকুরকে বংশবৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করে পরে রাস্তায় ছেড়ে দেন, এবং তথাকথিত শেল্টারে তাদের বেঁচে থাকা কঠিন।

পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দ এক্স-এ লিখেছেন, “রাস্তার মানুষ অন্তত কিছু কুকুরকে খাওয়ায়। শেল্টারে তারা অনাহারে-অতৃপ্তিতে মারা যাবে। এটা একপ্রকার গণহত্যার শামিল। কেউ একজন পিটিশন শুরু করুন।”

গীতিকার-কমেডিয়ান বরুণ গ্রোভার বলেন, স্ট্রে ডগ সমস্যা আসলেই মানুষের তৈরি, আর বহুবার নির্বীজকরণ কর্মসূচি সমাজেরই একাংশ আটকে দিয়েছে। এখন শেল্টারে পাঠানোর নামে আসলে কুকুরদের অনাহারে মারা যাওয়ার পথে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

janhvi kapoor

অভিনেতা-কমেডিয়ান বির দাস নিজের দত্তক নেওয়া রাস্তার কুকুরদের ছবি শেয়ার করে দিল্লিবাসীদের রাস্তার কুকুর দত্তক নিতে আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি স্থানীয় প্রাণীকল্যাণ সংগঠনগুলিকে সমর্থন ও সাহায্য করার অনুরোধ করেন তিনি।

সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক তুঙ্গে, প্রাণী অধিকারকর্মী ও সাধারণ মানুষও এখন মানবিক সমাধানের দাবিতে সরব।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version