টলিউডের ক্রাশ বলতে প্রথমেই যার নাম মাথা আসে তিনি হলেন ঋতাভরী চক্রবর্তী। নিজের রূপে-গুণে সকলকে বার বার মুগ্ধ করেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো আগুন ধরান তিনি। খোলামেলা পোশাকে বোল্ড আন্দাজে পুরুষের রাতের ঘুম কেড়ে নেন ঋতাভরী।
তবে অভিনেত্রী ছাড়াও তিনি খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকেন সবসময়। কী সেই কাজ অনেকেই হয়ত জানেন না।
ঋতাভরী ও তাঁর মা শতরূপা সান্যাল বরাবরই সমাজমূলক কাজের সাথে জড়িত থাকে। তাদের নিজস্ব একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রয়েছে। এছাড়াও সল্টলেকের ‘আইডিয়াল স্কুল ফর দ্য ডেফ’ নামের একটি স্কুলে ৭৪ জন শিশুর যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী ।
এই স্কুলে যেসব শিশুরা আছেন, তাঁরা বিশেষভাবে সক্ষম। তাঁদের নিয়ে পুরো বছর নানা কাজ করে থাকেন ঋতাভরী। ৭৪ জন বিশেষভাবে সক্ষম এই ছাত্র-ছাত্রীর যাবতীয় দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন অভিনেত্রী।
উৎসব অনুষ্ঠানের দিনগুলি ছাড়াও অভিনেত্রীকে প্রায়ই এই বাচ্চা শিশুগুলির সাথে সময় উপভোগ করতে দেখা যায়। এই শিশুগুলি তার জীবনে সব। মায়ের মতো স্নেহ করে তাদের।
এই ছাত্রছাত্রীদের জন্য লাইব্রেরির ব্যবস্থা করেছেন, বড়দিনে সান্তা ক্লজ সেজে অনেক উপহার দিয়ে থাকেন। নানাভাবে যুক্ত থেকেছেন বিশেষভাবে সক্ষম ৭৪ জনের সঙ্গে।
ছোটবেলা থেকে বাবার ভালোবাসা কখনও পাননি অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। ছোটবেলায় মাকে মারধর করা, গালিগালাজ করা, এবং তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা ছাড়া বাবাকে নিয়ে তেমন আর কোনো স্মৃতি নেই ঋতাভরীর। পরিচালক উৎপলেন্দু চক্রবর্তী ঋতাভরীর কাছে শুধুমাত্র তাঁর বায়োলজিক্যাল বাবা, এর বেশি কিছু একেবারেই না।
পরিচালক শতরূপা সান্যাল তাঁর দুই মেয়ে চিত্রাঙ্গদা এবং ঋতাভরী কে একাই মানুষ করেছেন। বাবার সম্বন্ধে খুব একটা কথা বলতে একেবারেই পছন্দ করেন না ঋতাভরী।
সম্প্রতি গোলাপি পোশাকে বার্বি লুকে নতুন ফ্যাশন স্টেটমেন্ট শেয়ার করলেন অভিনেত্রী। গোলাপি পোশাকে উন্মুক্ত বক্ষবিভাজিকা আর দুচোখ ভরা যেন মাদকতা। আর সেই মাতাল করা নেশায় বুঁদ ঋতাভরীর ভক্তরা।
ভিডিও- ইন্সটাগ্রাম
বিনোদনের খবরের সব আপডেট পেতে পড়ুন খবর অনলাইন