৭০ এর দশকের টলিউড-এর সেরা অভিনেত্রী বললে সকলেই এক বাক্যে সুচিত্রা সেন -এর নাম নেবেন। বাংলার মহানায়িকার সঙ্গে তখন কাজ করার জন্য মুখিয়ে থাকতেন পরিচালকরা। শুধু বাংলাতে নয়, বলিউডের পরিচালকরাও সুচিত্রা সেনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী ছিলেন।
কিন্তু জানেন কী মহানায়িকা নিজের খাওয়া দাওয়ার ব্যপারে কোনও নিয়ম মানতেন না। বরং জেনে নেওয়া যাক সুচিত্রা সেনের পছন্দের খাবার কী কী ছিল।
বাংলা ছবির মহানায়িকা সুচিত্রা সেন খেতে ও খাওয়াতে খুব ভালোবাসতেন। তিনি কোনও ডায়েট মানতেন না এমনটাই সূত্রের খবর।
তবে তিনি কাজের বাইরে বরাবরই লোকচক্ষুর আড়ালে থাকতে পছন্দ করতেন। যেখানে সেখানে, যখন তখন তাকে দেখা যেত না। তাই বাইরে খেতে যাওয়ার ক্ষেত্রেও সুচিত্রা সেনের অনেক বাছবিচার ছিল। যেখানে সেখানে যাওয়া পছন্দ করতেন না।
পড়ুন: রবিনার কন্যা রাশা কবে পা রাখছেন বলিউডে? কী গুণ রয়েছে অভিনেত্রীর ছোট কন্যার?
সেই রকমই কলকাতার পার্কস্ট্রিটের ‘বারবিকিউ’ রেস্তোরাঁ ছিল সুচিত্রার পছন্দের রেস্তোরাঁগুলির মধ্যে অন্যতম। ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে আশির দশকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত সুচিত্রা সেন প্রায়ই ‘বারবিকিউ’-তে আসতেন। ওখানকার পরিবেশ এবং খাওয়া দাওয়া তার বেশ পছন্দের ছিল। একা কখনও খেতে যেতেন না। হয় মেয়ে জামাইকে নিয়ে কিংবা যদি কোনও পার্টি দেওয়ার হত, বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে যেতেন।
ওই রেস্তোরাঁয় তার নির্দিষ্ট একটা টেবিল ছিল। আসার আগে ফোন করতেন তিনি, সেইসময় ওই রেস্তোরাঁর ম্যানেজার ছিলেন বল্লভভাই আথা। সেই কারণে পরবর্তী সময়ে ৮২ বছরের শক্তপোক্ত ম্যানেজার বল্লভবাবু সুচিত্রা সেনের কথা উঠলেই বেশ খানিকটা আবেগ-বিহ্বল হয়ে পড়তেন।
সুচিত্রা সেন এই রেস্তোরাঁয় ডিনারের জন্য সন্ধ্যে ৭ টা থেকে ৭:৩০ টার মধ্যে চলে যেতেন। তার জন্য টেবিলে সাজানো থাকতো বারবি কিউয়ের মিক্সড কাবাব প্ল্যাটার। এই কাবাব প্ল্যাটারের মধ্যে সাজানো থাকতো মটন বড়া কাবাব, তন্দুরি চিকেন, মুর্গ মালাই কাবাব, ফিশ পিসৌরি কাবাব, মুর্গ হরিয়ালি কাবাব, মটন শিক কাবাব ও তন্দুরি প্রন, সঙ্গে স্যালাড, পুদিনা চাটনি ও রায়তা। সুচিত্রা সেন গরম বাটার নান ও গার্লিক দিয়ে এই মিক্সড কাবাব প্ল্যাটার খেতেন।
ভিডিও- ইউটিউব
বিনোদনের খবরের সব আপডেট পেতে পড়ুন খবর অনলাইন