অসমের বাদশা জুবিন গার্গকে মঙ্গলবার পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় জানানো হল। লক্ষ লক্ষ মানুষের ঢল নামল কামারকুচি এনসি গ্রামে, যেখানে চোখের জলে প্রিয় শিল্পীকে শেষবারের মতো বিদায় জানাল অসমবাসী।
প্রথা ভেঙে বোনের মুখাগ্নি
গায়কের শেষকৃত্যে সমস্ত নিয়ম-নীতি ভেঙে মুখাগ্নি করেন জুবিনের বোন পালমি বঢ়ঠাকুর। তিনিই শেষকৃত্যের সমস্ত রীতি পালন করেন। এই সিদ্ধান্তে আবেগে ভেসে যায় উপস্থিত জনতা।
জনসমুদ্রের বিশ্বরেকর্ড
জুবিন গার্গের শেষযাত্রায় মানুষের ভিড় ইতিহাস তৈরি করেছে। এতটাই বিপুল জনসমাগম হয়েছে যে তা বিশ্বের সর্ববৃহৎ চতুর্থ শবযাত্রা জমায়েত হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে।
‘মায়াবিনি রাতির বুকুত’-এর সুরে শেষ শ্রদ্ধা
শবযাত্রা থেকে শুরু করে শেষকৃত্যের মুহূর্ত—সর্বত্রই প্রতিধ্বনিত হয়েছে জুবিনের জনপ্রিয় গান ‘মায়াবিনি রাতির বুকুত’। বছর দুয়েক আগে জুবিন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, তাঁর মৃত্যুর পর গোটা অসমে এই গানই বাজবে। মঙ্গলবার সেই কথাই যেন বাস্তবে পরিণত হল।

শোকস্তব্ধ পরিবার
শেষকৃত্যে কান্নায় ভেঙে পড়েন জুবিনপত্নী গরিমা সাইকিয়া। তাঁকে সান্ত্বনা দিতে গিয়েও চোখের জল আটকে রাখতে পারেননি বহু মানুষ।
রাজনৈতিক মহলের উপস্থিতি
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জুবিনকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। তিনি জানান, শিল্পীর মৃত্যুতে শুক্রবার থেকেই নিদ্রাহীন রাত কাটাচ্ছেন তিনি। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজুও।
স্মৃতিসৌধ নির্মাণ
অসম সরকার ঘোষণা করেছে, কামারকুচির শেষকৃত্যস্থলেই জুবিন গার্গের স্মৃতিসৌধ গড়ে তোলা হবে। এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১০ বিঘা জমি।